একশো বছরে পা রাখছেন এক বৃদ্ধা। তাই তাঁর নামে গোটা একটা রাস্তার নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিল স্থানীয় প্রশাসন। কারণ সেই বৃদ্ধা যে আর কেউ নন, তিনি খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা। শতবর্ষ উপলক্ষে তাঁকে সম্মান জানাতেই এহেন ভাবনা প্রশাসনের। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
মায়ের জন্মদিনে সন্তানের কাছ থেকে পাওয়া উপহারের চাইতে বেশি প্রিয় আর কী হতে পারে! আর তাঁর সন্তান যদি হন একটা স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো প্রভাবশালী, তাহলে সে উপহারও যে একেবারে অভিনব হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ঠিক তেমনটাই ঘটেছে হিরাবেন দেবীর ক্ষেত্রে। নিজের একশো বছরের জন্মদিন উপলক্ষে এমন এক উপহার পেতে চলেছেন তিনি, যা সাধারণ মানুষের কল্পনারও বাইরে। আসলে এই বৃদ্ধা যে যে-কেউ নন। তিনি হিরাবেন মোদি, খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা। ১৯২৩ সালের ১৮ জুন তারিখে জন্ম হয়েছিল তাঁর। হিসেবমতো চলতি বছরের সেই তারিখে একশো বছরের কোঠায় পা রাখছেন এই বৃদ্ধা। আর সেই দিনটি উদযাপন করতেই এক আশ্চর্য উপহারের কল্পনা করেছে স্থানীয় গান্ধিনগর প্রশাসন।
আরও শুনুন: মা-বাবা ‘লিভ ইন’ করলেও সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে সন্তান, রায় সুপ্রিম কোর্টের
হ্যাঁ, এই উপহারটি প্রত্যক্ষভাবে তাঁর ছেলে নরেন্দ্র মোদির দেওয়া নয়। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বের সুবাদেই যে হিরাবেন মোদিকে ঘিরে এহেন উপহারের পরিকল্পনা করেছে গান্ধিনগর প্রশাসন, সে কথা বলাই বাহুল্য। গুজরাটের রাজধানী গান্ধিনগরের একটা গোটা রাস্তার নামকরণ করা হবে হিরাবেন মোদির নামে, এমনটাই পরিকল্পনা প্রশাসনের। সেখানকার মেয়র হিতেশ মাকওয়ানা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর মায়ের একশো বছরের জন্মদিন উপলক্ষে রায়সেন অঞ্চলের একটি ৮০ মিটার লম্বা রাস্তাকে পূজ্যা হিরাবেন মার্গ নামে চিহ্নিত করতে চান তাঁরা। আগামী প্রজন্ম যাতে তাঁকে চিনে তাঁর জীবন থেকে অনুপ্রেরণা পেতে পারে, সেই কারণেই এহেন উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন মেয়র।
আরও শুনুন: ভুল অস্ত্রোপচারে বাদ পড়ল খুদের শুক্রনালী, ক্ষতিপূরণের দাবি আত্মীয়দের
প্রধানমন্ত্রীর ছোট ভাই পঙ্কজ মোদির সঙ্গে রায়সেন গ্রামেই বাস করেন তাঁর মা হিরাবেন মোদি। রাজধানী গান্ধিনগরের উপকণ্ঠে অবস্থিত এই গ্রামটি বিজেপি শাসিত গান্ধিনগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের আওতায় পড়ে। আর সেখানকার প্রশাসনের তরফেই নেওয়া হয়েছে এহেন উদ্যোগ। ১৮ জুন তারিখেই আবার রাজনৈতিক কারণে এক দিনের গুজরাট সফরে আসার কথা মোদির। গত মার্চ মাসে শেষবার মায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। সেক্ষেত্রে মায়ের জন্মদিনে তাঁর সঙ্গে ফের দেখা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী, এমনটাই মনে করছে প্রশাসনিক মহল।