দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে বিতর্কের পরই এবার খবরের শিরোনামে রাজস্থানের আলোয়ার। সেখানে বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হল একটি ৩০০ বছরের প্রাচীন শিব মন্দির। এই অভিযোগেই সরব বিজেপি, নিশানা করেছে কংগ্রেস সরকারকে।
রাজস্থানের আলোয়ারে একটি ৩০০ বছরের প্রাচীন শিব মন্দির ভাঙাকে কেন্দ্র করে ছড়াল তীব্র উত্তেজনা। অভিযোগ, বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয় মন্দিরের ছাদ ও পিলার। এমনকী মন্দিরের ভিতর থাকা শিবলিঙ্গটিও এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়, যেটিকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে রাজস্থান বিজেপি। তাদের দাবি, কংগ্রেস যে কতখানি ধর্মনিরপেক্ষ তা এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে। কারাউলি বা জাহাঙ্গিরপুরীর হিংসার ঘটনায় যে দল দুঃখ প্রকাশ করে, তাদের সরকার থাকাকালীনই রাজস্থানে হিন্দুদের মন্দির ধ্বংস হচ্ছে। আগুনে ঘি ঢালে এক স্থানীয় বিধায়কের বিবৃতি। ভাইরাল ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায় যে, কংগ্রেস শাসিত পুরসভা চাইলে এই কাজ আটকাতে পারত। রাজস্থান বিজেপির দাবি, জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনার বদলা নিতেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে গেহলট সরকার।
আরও শুনুন: কেন তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন? পদ্মশ্রী কেড়ে নেওয়া হোক তারকাদের, দাবি বিজেপি নেতার
প্রত্যাশিত ভাবেই এই নিয়ে শুরু হয়ে তীব্র রাজনৈতিক বিতণ্ডা। একই সঙ্গে রাজগড়ে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজের জন্য বেশ কিছু ঘর ভাঙা পড়ে। গৃহহীন হয়ে পড়েন বহু মানুষ, যাঁরা মূলত ধর্মাবলম্বী। বিজেপির অভিযোগ, আগাম নোটিশ না দিয়েই এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। জোড়া ইস্যুকে সামনে রেখেই কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই অভিযোগের জবাব দিয়ে রাজস্থানের মন্ত্রী প্রতাপ সিং খাচরিয়াবাস জানিয়েছে, বিজেপির দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যে। তাঁর দাবি, ‘রাজগড় আরবান বডিস বোর্ড’-এর চেয়ারম্যান নিজে বিজেপির সদস্য। যে কর্মসূচির দরুন মন্দির এবং ঘর ভাঙা পড়েছে, তাতে সম্মপ্তি দিয়েছিলেন চেয়ারম্যান। বরং কংগ্রেসের বিধায়কই এতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। মন্ত্রী জানান, যদি আইনি কোনও অসুবিধা না থাকে তবে এই মন্দির পুনরায় গড়ে তোলা হবে।
আরও শুনুন: কোভিড নয়, রাস্তায় ঘুরছে ‘মানুষখেকো পিশাচ’! লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিলেন গ্রামবাসীরাই
যদিও মন্ত্রীর সাফাই-এ বিন্দুমাত্র সন্তুষ্ট নয় গেরুয়া শিবির। মন্দির ভাঙা ও হিন্দুদের উচ্ছেদ করার ইস্যুতে কংগ্রেস সরকারকে চাপে রাখারই পরিকল্পনা তাদের। কারাউলি ও জাগাঙ্গিরপুরীর হিংসার ঘটনার পর আলওয়ারের মন্দির ভাঙা পড়ার ঘটনার জল যে অনেকদূর গড়াবে, এমনটাই মনে করছেন অনেকে।