আঁধারে ডুবে যেতে পারে গোটা দেশ। কাজ থেমে যেতে পারে হাসপাতাল, ট্রেন, মেট্রোর মতো জরুরি পরিষেবাতেও। এমনই অশনি সংকেত দিল দেশের রাজধানী শহর। কেন? শুনে নেওয়া যাক সে কথা।
ভারতীয় রেল সূত্রের খবর, আগামী ২৪ মে পর্যন্ত দৈনিক গড়ে ১৬টি করে মেল, এক্সপ্রেস এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হচ্ছে। বাতিল হওয়া ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে অন্তত ৫০০টি দূরপাল্লার ট্রেন। জানা গিয়েছে মোট ৬৭০টি যাত্রীবাহী ট্রেন সাময়িকভাবে বাতিল করতে চাইছেন রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এহেন সিদ্ধান্তের কারণ কী? সূত্রের খবর, দেশজুড়ে দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ সংকট। তাই কয়লা পরিবহণে অগ্রাধিকার দিতেই নেওয়া হয়েছে এমন সিদ্ধান্ত। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কয়লা পাঠানো হবে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে। নইলে আঁধারে ডুবে যেতে পারে দেশের রাজধানী শহর, এমনই ভয়ের খবর শোনাল দিল্লি প্রশাসন।
আরও শুনুন: সততার আশ্চর্য নজির! হঠাৎ কোটি টাকা হাতে পেয়েও ফেরত দিলেন ব্যক্তি
তলানিতে ঠেকেছে জ্বালানির পরিমাণ। দিল্লির বিদ্যুৎমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন, “যেখানে ২১ দিনেরও বেশি সময়ের কয়লা মজুত থাকা উচিত, সেখানে বহু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে একদিনেরও কম পরিমাণে কয়লা রয়েছে।” রেলওয়ে রেকের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে সময়মতো কয়লার জোগান পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন না করা গেলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে হাসপাতাল, ট্রেন, মেট্রোর মতো জরুরি পরিষেবাও। আপাতত সেই সমস্যার মোকাবিলা কীভাবে করা যায়, তা নিয়েই চলছে দফায় দফায় আলোচনা।
আরও শুনুন: অবাক কাণ্ড! হোটেলের খরচ লাগেই না অথচ সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়ায় এই পরিবার, কীভাবে?
সত্যি বলতে, কেবল দিল্লি নয়, জ্বালানি তথা বিদ্যুতের ঘাটতি তৈরি হয়েছে দেশজুড়েই। দেশের অন্তত ১৬টি রাজ্যে ইতিমধ্যেই এই সংকট দেখা দিয়েছে বলে খবর। তার উপরে গরমের তীব্র দাবদাহে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। অচিরেই বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাবেও। একইভাবে কম প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতিগুলিকে যথাসম্ভব বন্ধ রাখতে বলে রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। একে জাতীয় সংকট বলেই দাবি করেছেন তিনি। বিপদের গুরুত্ব সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা ‘আপ’-এর প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালও।