টাইম বম্বের কথা সবাই শুনেছেন, কিন্তু টাইম ব্যাঙ্ক? আজ্ঞে, তাও আছে বইকি। যে ব্যাঙ্কে ঘণ্টা মিনিট গুনে গুনে সময় জমা করা যায়, আবার তুলেও নেওয়া যায়। বিশ্বাস হচ্ছে না তো? তাহলে শুনুন এই আজব ব্যাঙ্কের কথা।
ব্যাঙ্কে টাকা জমা করা যায়, গয়নাগাঁটি জমা করা যায়, দলিলপত্রও রাখা যায় লকারে। কিন্তু টাকার বদলে টাইম! অর্থাৎ কিনা সময়! সেও যে জমা করা যায়, সে কথা কে জানত! বরাবর শুনে আসছেন, ‘সময় বহিয়া যায়/ নদীর স্রোতের প্রায়।’ তা যাকে ধরা ছোঁয়াই চলে না, তাকে মানুষ জমাবে কী করে! কিন্তু এবার সে আক্ষেপের সময় শেষ। সময়কে জমিয়ে রাখার উপায়ও নাকি আবিষ্কার করে ফেলেছে মানুষ। তাও যেখানে সেখানে নয়, খোদ ব্যাঙ্কে। অর্থাৎ নিরাপত্তার নিশ্চিত গ্যারান্টি সহযোগে।
আরও শুনুন: প্লেগ থেকে স্প্যানিশ ফ্লু, বারেবারে এসেছে মহামারী, লড়াই করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মানুষ
ছোটবেলায় যেসব প্রবাদ সবার কানের কাছে মন্ত্রের মতো আওড়ানো হয়, তার মধ্যে খুব চেনা একটা প্রবাদ হল, ‘মানি ইজ টাইম, টাইম ইজ মানি’। আর সেই কথাকেই শিরোধার্য করে নিয়েছে একটি দেশের ব্যাংকের সেভিংস পলিসি। কিন্তু কোথায় রয়েছে সেই বিশেষ ব্যাঙ্ক?
আরও শুনুন: ১০১৯ অক্ষরের নাম, বার্থ সার্টিফিকেট ২ ফুটের! বিশ্বরেকর্ড মহিলার
আর্থিক নিরাপত্তার প্রসঙ্গে সবাই একবাক্যে যাকে সেরার শিরোপা দেন, সেটি সুইটজারল্যান্ডের জুরিখ শহরের সুইস ব্যাঙ্ক। লেনদেনের ব্যাপারে বহুদিন ধরেই বিশ্বসেরার তকমা পেয়ে আসছে এই দেশটি। আর এবার তারাই এগিয়ে গেল আরও এক ধাপ। সুইস মিনিস্ট্রি অফ হেলথ তৈরি করে ফেলেছে ‘টাইম ব্যাঙ্ক’ প্রকল্প, যেখানে আক্ষরিক অর্থেই সময় জমা রাখতে পারেন সে দেশের নাগরিকেরা। বস্তুত বৃদ্ধদের জন্য নির্দিষ্ট সরকারি পরিষেবারই অঙ্গ এই উদ্যোগ। যেসব বয়স্ক মানুষের নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সারার মতো শারীরিক সক্ষমতা অবশিষ্ট নেই, তাঁদের জন্য স্বেচ্ছাসেবকের ব্যবস্থা করে এই পরিষেবা। আর এই স্বেচ্ছাসেবকেরা ওই বয়স্ক মানুষদের দেখভাল করার জন্য যত ঘণ্টা শ্রম দান করেন, সেই হিসেব নথিভুক্ত হয় ওই ব্যাঙ্কে। যেখানে রয়েছে তাঁদের সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাকাউন্ট। নামকরণ থেকেই স্পষ্ট, সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়ার লক্ষ্যেই এই অ্যাকাউন্ট তৈরি। আর বাস্তবে তা ঠিক সেই কাজটিই করে। ওই স্বেচ্ছাসেবকদের বৃদ্ধ বয়সে একইভাবে পরিষেবা দিয়ে থাকে টাইম ব্যাঙ্ক, পাশাপাশি সুদ হিসেবে মেলে আরও কিছু বাড়তি সহায়তা। তবে শুধুমাত্র বয়স্ক মানুষদের দেখাশোনা করা নয়, কনসালটেশন, বেবিসিটিং, পড়ানো, বাগানে কাজ করা, এমন বিভিন্ন উপায়েই সময় জমা করে ফেলা যায় এই বিশেষ ব্যাংকে।
বাকি অংশ শুনে নিন।