প্রতিবেশী দেশ নেপাল। সেখানকার নতুন নোটে ভারতের মানচিত্রের অংশ। সম্প্রতি এই নিয়েই তোলপাড় নেটদুনিয়া। রাজনৈতিক মহলেও দানা বাঁধছে নতুন বিতর্ক। তবে কি চিনের মতোই ভারতের কিছু অংশ নিজেদের করতে চাইছে নেপাল? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
টাকার নোটে দেশের মানচিত্র থাকা নতুন নয়। কিন্তু সেখানে যদি প্রতিবেশী দেশের কিচুহ অংশ থাকে তাহলে সমস্যা হতে বাধ্য। সম্প্রতি ভারত এবং নেপালের মধ্যে এই নিয়ে নয়া সমস্যা দেখা দিয়েছে। বছর খানেক আগে কিছু বিতর্কিত জায়গা রেখেই নতুন মানচিত্র গড়েছিল নেপাল সরকার। সম্প্রতি সেই মানচিত্রের ছবিই ১০০ টাকার নোটে ব্যবহার করেছে ভারতের প্রতিবেশী দেশ।
আরও শুনুন: বিয়েতে আপত্তি নেই, কিন্তু শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে থাকতে কেন নারাজ এ যুগের তরুণীরা?
সীমানা বিস্তারের চেষ্টায় ভারতের সঙ্গে হামেশাই গোল বাঁধে চিনের। এবার সেই দ্বন্দে যোগ দিয়েছে নেপালও। প্রতিবেশী দেশের সরকার এমন কিছু জায়গাকে নিজেদের বলে দাবি তুলেছে, যা আসলে ভারতের অংশ। বিতর্কের শুরু ২০২০ সালে। নেপাল সরকারের তরফে নতুন এক মানচিত্রের ছবি প্রকাশ করা হয়। সেখানেই দেখা যায় লিপুলেখ, লিম্পিয়াধুরা এবং কালাপানি এলাকাকে নিজেদের বলেই দাবি জানিয়েছে নেপাল। অথচ এই তিনটি জায়গায় উত্তরাখণ্ডের অংশ। মানচিত্রে ছবি প্রকাশ্যে আসার পরই ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জোর আপত্তি তোলে। এরমধ্যে লিপুলেখ পাসকে নিজেদের বলে দাবি করে বসে চিন। সবমিলিয়ে বেশ জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয় বিভিন্ন মহলে। এরপর অবশ্য এই নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ছাড়া তেমন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি ভারতের তরফে। এরই মাঝে সামনে এল নেপালের নতুন নোটের ছবি। সেখানে ভারতের তিন অংশের উল্লেখ দেখে উদ্বিগ্ন ওয়াকিবহল মহল।
আরও শুনুন: টাকার দাম নেই! কেন শূন্য টাকার নোট চালু হয় দেশে?
সম্প্রতি নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ডের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন নোট চালুর কথা ওঠে। সেটি ১০০ টাকার নোট হবে এমনটাও জানানো হয়। একইসঙ্গে নোটের উপর সে দেশের নতুন মানচিত্র ছাপানো হবে বলেও জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী দহল। এমনিতে এই ধরনের নোট বন্দীউতে অভ্যস্ত ভারতীয়রাও। বিগত কয়েক বছরে আমূল বদলেছে এ দেশের নোটের ছবি। ১০ থেকে একেবারে ৫০০, সবই নতুন রূপে বাজারে এসেছে। নেপালেও সেইমতো নতুন নোট চালু করবে বলে জানিয়েছে সে দেশের সরকার। ধীরে ধীরে তুলে নেওয়া হবে পুরনো নোট। কিন্তু নতুন নোট চালু হওয়ার আগেই শুরু হল নতুন বিতর্ক। এখনও এই নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও মন্তব্য করেনি ভারত। মন্ত্রীসভার তরফেও কিছু বলা হয়নি। তবে অদূর ভবিষ্যতে এর প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে। নেপালের এই পদক্ষেপ ভারত যে সহজে মেনে নেবে না এমনই বিশ্বাস ওয়াকিবহাল মহলের।