বেঁচে থাকতে রাম মন্দির তৈরি হবে আশা করেননি। মন্দির উদ্বোধনের আবহে আবেগে ভেসে এমনই মন্তব্য করলেন অযোধ্যার ‘রাজা’। তাঁর দাবি, রাম মন্দিরের জন্যই নতুন করে প্রাণ ফিরছে মন্দির নগরীতে। আর কী বললেন রাম মন্দির কমিটির এই সদস্য? আসুন শুনে নিই।
অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা। রাজকীয় অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকল গোটা দেশ। এই আবহে আবেগে ভাসলেন অযোধ্যার ‘রাজা’ বিমলেন্দ্র মোহন প্রতাপ মিশ্র। তাঁর কথায়, রাম মন্দির উদ্বোধনের মধ্যে দিয়েই প্রাণ ফিরছে অযোধ্যায়। নতুন রূপে সামনে আসছে মন্দির নগরী।
আরও শুনুন: জনতার মন্দির… ভিক্ষুক থেকে যৌনকর্মী কে নেই! বিন্দু বিন্দু দানেই সিন্ধু হল অযোধ্যাপুরী
দীর্ঘ আন্দোলনের পর বিতর্কিত জমিতে মিলেছিল রাম মন্দির তৈরির অনুমতি। ২০২০ সালে মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বছর তিনেকের মধ্যেই মন্দিরের গর্ভগৃহ তৈরির কাজ সম্পন্ন। রাজকীয় অনুষ্ঠানে সেখানে প্রতিষ্ঠিত হলেন রামলালা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছিলেন অনুষ্ঠানের মধ্যমণি। আনন্দের জোয়ারে ভাসছে গোটা দেশ। তবে আযোধ্যাবাসীর আবেগের মাত্রা একেবারে আলাদা। সেই ছাপই স্পষ্ট হল সেখানকার ‘রাজা’। আসলে ‘রাজা’ বলতে উপাধির কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে যে উপাধি রয়েছে অযোধ্যার বাসিন্দা বিমলেন্দ্র মোহন প্রতাপ মিশ্র-র। রাম মন্দির কমিটির সদস্যপদেও তাঁর নাম রয়েছে। মন্দির উদ্বোধনের আগে তাঁর মুখে শোনা গেল, অযোধ্যার হারানো গৌরব ফিরে পাওয়ার কথা। মোহন প্রতাপের দাবি, রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়েই হারানো শ্রী ফিরে পেল মন্দির নগরী অযোধ্যা। ফের নতুন করে বিশ্বের দরবারে অযোধ্যার নাম প্রতিষ্ঠিত হবে বলেই মনে করেছেন এই ‘রাজা’। তবে বেঁচে থাকতে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা দেখতে পাবেন বলে আশা করেননি মোহন। তাই রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে আবেগে ভেসেছেন তিনি। একইসঙ্গে মা সীতার দেওয়া অভিশাপের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। মোহন প্রতাপের দাবি, সীতার অভিশাপেই যাবতীয় শ্রী হারিয়েছিল অযোধ্যা। এতদিনে সেই অভশাপ কেটেছে। তাই রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মন্দির নগরী নিজের হারিয়ে যাওয়া গৌরব ফিরে পেল।