সদ্য ফিরে পেয়েছেন সাংসদ পদ। দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে রাহুল গান্ধী। এই আবহে কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, জনপ্রিয়তার নিরিখে মোদিকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন রাহুল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সবথেকে বেশি অনুরাগী রয়েছে তাঁর, এমন দাবিও উঠেছিল। কিন্তু সত্যিই কি তাই? নাকি বাস্তব পরিসংখ্যান বলছে একেবারে উলটো কথা? আসুন শুনে নিই।
শুধু দেশে নয়। সারা বিশ্বে তাঁর মতো জনপ্রিয় নেতা আর নেই। বিজেপির তরফে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে প্রায়শই এমন দাবি শোনা যায়। তবে রাহুলের সংসদ পদ ফিরে পাওয়ায় সেই জনপ্রিয়তায় নাকি ভাটা পড়েছে। দেশজুড়ে অনেকেই রাহুলের এই প্রত্যাবর্তনকে রাজনিতির ইতিহাসে অত্যন্ত চমকপ্রদ ঘটনা বলে চিহ্নিত করতে চাইছেন। সেই সূত্রে কংগ্রেসের তরফে দাবি উঠেছে, সোশ্যাল মিডিয়াতেও মোদিকে ছেড়ে সবাই রাহুলের ভিডিও দেখেছেন।
আরও শুনুন: গণেশের দিকে পিছন ফিরে দাঁড়িয়ে মোদি! দেবতাকে অপমান নাকি মিথ্যে প্রচার? মিলল জবাব
তবে বাস্তব পরিসংখ্যান মোটেও তেমনটা বলছে না। শুধু বিজেপি সমর্থকদের দাবি নয়, মোদির জনপ্রিয়তার সমর্থন মিলছে নির্ভেজাল তথ্যেও। সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় মাধ্যমগুলির মধ্যে সবার প্রথমে নাম করতে হয় ফেসবুকের। তবে রাজনীতির ময়দানে ফেসবুকের থেকেও জনপ্রিয়, টুইটার। বর্তমানে ‘এক্স’ হিসেবে পরিচিত এই সোশ্যাল মাধ্যমে মূলত অল্প কথায় নিজের বক্তব্য প্রকাশ করেন নেটিজেনরা। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা এর মাধ্যমেই মূলত তর্কযুদ্ধে নামেন। অনেক সময় স্রেফ এই বিশেষ সামাজিক মাধ্যমে লেখার জেরেই তুমুল অশান্তির জন্ম হয়। মোদি, রাহুল- কেউই এর বাইরে নেই। বিরোধীদের উদ্দেশে প্রশ্ন তোলা হোক কিংবা কোনও ক্রীড়াবিদকে সম্মান জানানো, একটা টুইট বদলে দিতে পারে অনেক কিছুই। বর্তমানে এই মাধ্যমেই মোদির অনুরাগির সংখ্যা ৯.৯ কোটি। কংগ্রেসের দাবি অনুযায়ী রাহুলের অনুরাগী তার থেকে বেশি হওয়া উচিত। কিন্তু পরিসংখ্যান এমনটা একেবারেই বলছে না। বরং মোদির পরেই ৩.৩ কোটি অনুরাগী রয়েছে অমিত শাহের। তারপর রয়েছেন কেজরিওয়াল। তাহলে রাহুলের অনুরাগীর সংখ্যা ঠিক কত? এক্স-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে রাহুলের অনুরাগী ২.৪ কোটি। অর্থাৎ মোদির তুলনায় প্রায় সাড়ে ৭ কোটি অনুরাগী কম রাহুলের।
আরও শুনুন: হিজাব বিতর্কের জেরে থমকে শিক্ষা, আসলে কি ক্ষতিই হচ্ছে মুসলিম মেয়েদের?
এখানেই শেষ নয়। ইউটিউবের ক্ষেত্রেও সেই পার্থক্যটা বেশ চোখে পড়ার মতো। সেখানে মোদির অনুরাগী ১.৬ কোটি। তবে রাহুলের মাত্র ২৬ লক্ষ। যদিও যে প্রসঙ্গে কংগ্রেস দুজনের জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তা যথেষ্ট আপেক্ষিক। একটি ভিডিও ঠিক কতজন মানুষ দেখবেন তা হয়তো অনুরাগীর সংখ্যার উপর নির্ভর করে না। তবে সামগ্রিকভাবে মোদির জনপ্রিয়তাই যে বেশি তা বলাই বাহুল্য। এ ছাড়া ফেসবুকের ক্ষেত্রেও মোদির অনুরাগী ৪.৮ কোটি সেখানে রাহুল আটকে রয়েছেন ৬৬ লক্ষে। ইন্সটাগ্রামেও দুজনের অনুরাগীর সংখ্যায় যথেষ্ট ফারাক। আর সেখানেও মোদির অনুরাগী প্রায় ৭ কোটি বেশি। সুতরাং একথা বলাই বাহুল্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তার নিরিখে মোদি এখনও শীর্ষে। শুধু দেশে নয় সারা বিশ্বের ক্ষেত্রেই একথা প্রযোজ্য হতে পারে।