সম্পত্তি নিয়ে অধিকারী পরিবারের পর্দা ফাঁস কুণালের। ৩ বছরেই কীভাবে ১০ লক্ষ থেকে ১০ কোটির সম্পত্তি? জবাব এড়িয়ে কদর্য আক্রমণ শুভেন্দুর। রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যরা ‘অনুপ্রবেশকারী’, সাংবাদিক বৈঠক থেকে বেনজির আক্রমণ ব্রাত্যর। ৯৪ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। চোটের জেরে বিশ্বকাপ শেষ হার্দিকের। পরিবর্তে দলে ঢুকলেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমির লড়াইয়ে পাকিস্তান।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 3 নভেম্বর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ পাবে অধিকারীদের দুর্নীতি, চ্যালেঞ্জ কুণালের
আরও শুনুন: 2 নভেম্বর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ৫৫ রানেই দুরমুশ শ্রীলঙ্কা, বিরাট জয়ে সেমির টিকিট পাকা ভারতের
বিস্তারিত খবর:
1. সম্পত্তি নিয়ে অধিকারী পরিবারের পর্দাফাঁস করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। অভিযোগ, সম্পত্তি নিয়ে নির্বাচন কমিশন এবং প্রধানমন্ত্রীকে আলাদা আলাদা তথ্য দিয়েছেন সাংসদ শিশির অধিকারী। মাত্র তিন বছরে সাংসদের সম্পত্তি ১০ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে ১০ কোটি টাকা হল কীভাবে, বিরোধী দলনেতাকে প্রশ্ন কুণালের।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে অধিকারী পরিবারের সম্পত্তির বেনিয়ম সামনে আসবে বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। আর শনিবারই প্রথমে এক্স হ্যান্ডেলে, পরে সাংবাদিক বৈঠক করে নথি-সহ সেই তথ্য তুলে ধরলেন তিনি। তাঁর দাবি, ২০০৯ সালে নির্বাচনী হলফনামায় শিশির অধিকারী জানিয়েছিলেন তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। কিন্তু এর পরই তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন। ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে ঘোষণা অনুযায়ী সেই সম্পদের পরিমাণই দাঁড়ায় ১০ কোটিরও বেশি। আবার ২০১৯ সালে শিশির জানিয়েছেন, সম্পদের পরিমাণ ৩ কোটি। কোন জাদুতে এমন বিপুল পরিমাণ টাকা বাড়ে বা কমে, প্রশ্ন কুণালের। তার পরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে তাঁর কটাক্ষ, অন্য নেতাদের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে নিজের বাবাকেই প্রশ্ন করা উচিত শুভেন্দুর। তিনি আরও বলেন, “দিল্লিতে জয় শাহের সম্পত্তি বেড়েছে, বাংলায় শিশির অধিকারীর।” কিন্তু কুণালের তোলা প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে কদর্য ভাষায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু। যা নিয়ে সমালোচনা শুরু রাজনৈতিক মহলে।
2. উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে আরও বাড়ল রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে বেনজির আক্রমণ শানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বললেন, রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যরা সকলে ‘অনুপ্রবেশকারী’। কারণ, সুপ্রিম কোর্টই জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যপাল যেভাবে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন, তা আইনি নয়। বৈধতা না থাকার কারণেই এবার শিক্ষা সম্মেলনে আমন্ত্রণ মেলেনি অনেক উপাচার্যের, সাফ জানালেন ব্রাত্য।
সাধারণত রাজ্যে শিক্ষা সম্মেলনে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদেরই বেশি উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। কিন্তু চলতি বছরের ছবিটা একেবারেই আলাদা। সেই প্রসঙ্গেই শনিবার শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, আচার্য সি ভি আনন্দ বোস অন্তবর্তী উপাচার্য হিসাবে যাঁদের নিয়োগ করেছেন, সেটা বেআইনি। আমাদের এখানে শিক্ষা সম্মেলন করেছে সিআইএ। আমাদের দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় ছিল। বৈধ অনুমোদনক্রমে যাঁরা পদাধিকারী রয়েছেন তাঁদেরই তো ডাকব। আমার মনে হয় না, অনুপ্রবেশকারীদের এখানে ডাকার প্রয়োজনীয়তা আছে।” শিক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্যে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সংঘাত আরও বাড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।