প্রথমে অপহরণ। তারপর জোর করে ধর্মান্তকরণ। এবং সবশেষে বিয়ে। সম্প্রতি, বছর ১৯-র তরুণীর সঙ্গে ঠিক এমনটাই করার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। অথচ তাঁর বাড়িতে রয়েছে আরও ৫ স্ত্রী। অভিযোগ, ষষ্ঠবার বিয়ের জন্যই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন ওই যুবক। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। যুবকের বিরুদ্ধে ঠিক কী পদক্ষেপ নিয়েছেন তরুণীর পরিবার? আসুন শুনে নিই।
রয়েছেন ৫ স্ত্রী। তবু ফের বিয়ের শখ জেগেছিল যুবকের। তাই বছর উনিশের এক তরুণীকে অপহরণ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই তরুণীকে জোর করে ধর্মান্তরণ করে বিয়েও করেন তিনি। ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল এলাকায়। ইতিমধ্যেই যুবকের শাস্তির দাবিতে একযোগে সরব বজরং দল সহ বেশ কিছু হিন্দু সংগঠন।
আরও শুনুন: বিবাহিত হয়েও অন্য পুরুষের সঙ্গে লিভ-ইন, মহিলাকে সম্মতি দিল খোদ আদালত
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের শামলি জেলার। অভিযুক্ত যুবকের নাম রশিদ। জনা গিয়েছে, এর আগে পাঁচ বার বিয়ে করেছেন তিনি। তাঁদের কারও সঙ্গেই স্থায়ীভাবে সংসার করেন না। সম্প্রতি ফের বিয়ের শখ জাগে তাঁর। তাই স্থানীয় এক তরুণীকে তিনি অপহরণ করেন বলেই অভিযোগ। দিন পাঁচেক আগে ওই তরুণী মামাবাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। প্রথমে মেয়ে কোথায় গেল, তা কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি তরুণীর পরিবারের লোকজন। পরে জানা যায়, তাঁকে অপহরণ করেছেন রশিদ। মেয়ের খবর পেয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হন তরুণীর পরিবারের লোকজন। সেখানে রশিদের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। তখনই উঠে আসে আরও এক চমকপ্রদ তথ্য। জানা যায়, রশিদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই একগুচ্ছ অভিযোগ থানায় জমা আছে। তবে এক্ষেত্রে ঘটনার মাত্রা আরও গুরুতর। কারণ তরুণীর পরিবারের সঙ্গে যোগ দেয় বেশ কিছু হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। সরাসরি ‘লাভ-জিহাদের’ অভিযোগে সরব হয়েছেন বজরং দলের সদস্যরা।
আরও শুনুন: রুখেছিলেন পারিবারিক ভাঙন, আম্বানিদের সাফল্য তাঁর আশীর্বাদেই, চেনেন এই ধর্মগুরুকে?
কিন্তু এতকিছুর পরেও এতটুকু দমে যাননি অভিযুক্ত রশিদ। উলটে তিনিই নাকি তরুণীর বাড়িতে ফোন করে হুমকি দিয়েছেন। তাঁর দাবি, অবিলম্বে তাঁর নাম এফআইআর থেকে না সরালে ওই পরিবারের আরও এক তরুণীকে অপহরণ করবেন তিনি। এদিকে অপহৃত তরুণী এখনও রশিদের সঙ্গেই রয়েছেন বলে খবর। তবে ঘটনায় সুর চড়িয়েছেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, এর আগে ৫ মহিলার জীবন নষ্ট করেছেন রশিদ। যাঁদের মধ্যে চারজন হিন্দু। বজরং দলের দাবি হিন্দু মহিলাদের বিয়ে করে ধর্মান্তকরন করাই এই যুবকের আসল উদ্দেশ্য। তাই রশিদকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। আগামী দুদিনের মধ্যে তরুণীকে ফিরিয়ে না দিলে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করবে হিন্দু সংগঠনগুলি। এমনটাই সাফ জানিয়েছেন দলের সদস্যরা। অন্যদিকে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশও। খুব শীঘ্রই অভিযুক্তকে ধরে ফেলবেন তাঁরা, এমনটাই বিশ্বাস পুলিশ মহলের।