মেঙ্গালুরুতে সংস্কারের কাজ চলছিল প্রাচীন এক মসজিদ। আর সেখানেই দেখা মিলল এমন স্থাপত্যরীতির যা সাধারণত দেখা যায় মন্দিরের গায়েই। প্রত্যাশিত ভাবেই এই আবিষ্কার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এ ব্যাপারে কী বলছে স্থানীয় প্রশাসন? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
মেঙ্গালুরুর এক মসজিদের নিচে মন্দির গোত্রের স্থাপত্যের নিদর্শন মিলল সম্প্রীতি। তবে তা ঠিক মন্দিরেই কি-না তা স্পষ্ট নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেই জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, মালালি মার্কেট মসজিদ চত্বরে এই নিদর্শনের দেখা মেলে। মালালির জুমা মসজিদে চলছিল সংস্কারের কাজ। তার দরুন মসজিদের একটা অংশ ভেঙে আবার পুনরায় নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঠিক সেই সময় এমন কিছু স্থাপত্যকীর্তির নমুনা চোখে পড়ে, যা সাধারণত মন্দিরেই দেখা যায়। প্রত্যাশিত ভাবেই এ খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা। বর্তমান মসজিদের নিচে কোনও একসময় ছিল মন্দির, এই নিদর্শন সেই সম্ভাবনাই উসকে দিচ্ছে বলে দাবি তাঁদের। প্রশাসনের কাছে তাই তাঁদের দাবি, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। পরিস্থিতি বুঝে পুলিশ অবশ্য দ্রুত পদক্ষেপ করে। জায়গাটিকে ঘিরে ফেলা হয় এবং সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া।
আরও শুনুন: বেহাল অর্থনীতির হাল ফেরাতে দেশে আয়োজন মহা কুবের যজ্ঞের
এরকম নিদর্শনের হদিশ মেলায় স্বাভাবিক ভাবেই তৎপর হয়েছে প্রশাসন। যে ভূমির উপর মসজিদটি অবস্থিত, তার ল্যান্ড রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে ওয়াকফ বোর্ডকেও সমস্ত দলিল দস্তাবেজ দেখতে বলা হয়েছে। দুই রিপোর্ট মিলিয়ে দেখেই এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসন। যতক্ষণ না এই ভেরিফিকেশনের কাজ শেষ হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত সংস্কারের কাজ আর না এগোনোরই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও শুনুন: লম্বা লেজ কিশোরের, পরিবারের বিশ্বাস পুনর্জন্ম হয়েছে স্বয়ং বজরংবলীর
পাশপাশি সাধারণ মানুষের উদ্দেশে প্রশাসনের আরজি, তড়িঘড়ি কোনও সিদ্ধান্তে যেন তাঁরা উপনীত না হন। এই ধরনের স্থাপত্যরীতির খোঁজ পাওয়া মানেই মসজিদের নিচে মন্দির ছিল, এমনটা ধরে নেওয়া যায় না। স্থাপত্যের নানারকম বিবর্তন আছে, যার ছাপ থেকে যেতে পারে প্রাচীন মসজিদে। ফলত এমন কোনও সিদ্ধান্তে মানুষ যেন না পৌঁছান যাতে এলাকার শান্তি বিঘ্নিত হয়, এমনটাই আরজি প্রশাসনের।