রামসেতু নির্মাণ করেছিলেন রামচন্দ্র। এর থেকেই বোঝা যায়, তিনি কত বড় মাপের ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। না, এ কোনও প্রচলিত মত বা মুখের কথা নয়। ঠিক এই ভাবেই বিষয়টি নিয়ে এবার সিরিয়াসলি পড়াশোনা করতে হবে পড়ুয়াদের। কেননা সিলেবাসে ঢুকে পড়েছে রামের ইঞ্জিনিয়ারিং। কোথায়, কাদের পড়তে হবে এসব? আসুন শুনে নিই।
ভগবান রাম যে কতবড় ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন, এবার সে বিষয়ে আলাদা করে পড়াশোনা করতে হবে কলেজ পড়ুয়াদের। প্রচলিত মত ও বিশ্বাস অনুযায়ী, রামের কারিগরী দক্ষতার সবথেকে বড় নিদর্শন হল রামসেতু নির্মাণ। ফলত, রামসেতুর নির্মাণ এবং রামের কারিগরী দক্ষতা নিয়ে আলাদা একটি অধ্যায়ই এবার থাকছে সিলেবাসে। মধ্যপ্রদেশের প্রথম বর্ষের কলেজ পড়ুয়াদের অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে এবার পড়তে হবে এই বিষয়টিও।
আরও শুনুন: তাক করা তালিবানি বন্দুকের মুখে নির্ভয়ে দাঁড়িয়ে আফগান মহিলা, কুর্নিশ বিশ্ববাসীর
সে-রাজ্যে নতুন যে শিক্ষানীতি ঘোষিত হয়েছে, তাতে সিলেবাসে এসেছে একাধিক পরিবর্তন। মহাকাব্য এবং তাঁর ফলিত প্রয়োগ অর্থাৎ ব্যবহারিক দিকটি নিয়ে পড়ুয়াদের বিস্তারিত জানানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী, এখন থেকে চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারীর লেখা মহাভারতের মুখবন্ধ যেমন তাদের পড়তে হবে, তেমনই পড়তে হবে ‘ওঁ’ মন্ত্রচ্চারণের গুরুত্ব-ও। পাশাপাশি থাকবে, যোগ ও ধ্যান বিষয়ক পড়াশোনাও। বেদ, পুরাণ, উপনিষদ-সহ একাধিক বিষয় এখন কলেজ পড়ুয়াদের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। শ্রীরামচরিত মানসের ফলিত দর্শন অর্থাৎ ব্যবহারিক ক্ষেত্রে রামচরিত মানসের গুরুত্বের উপরও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
আরও শুনুন: জন্মদিনে আইফোন দিয়ে কেক কাটছে বিধায়কের ছেলে, তাজ্জব নেটিজেনরা
মধ্যপ্রদেশের উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রী মোহন যাদব জানিয়েছেন, এই বিষয়গুলি পড়াশোনা করলে আখেরে পড়ুয়াদেরই উন্নতি হবে। কেননা এখানে যা বলা হয়, তা জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। তাঁর বক্তব্য, ‘মহাভারত, রামায়ণ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। এগুলো যদি এখন থেকে পড়ুয়ারা পড়তে শুরু করে, তাহলে এখান থেকেই তারা জীবনে অনুপ্রেরণার সন্ধান পাবে। কীভাবে জীবনে মূল্যবোধ ও আত্মমর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে হয়, তা শিখতে পারবে। আমরা চাই, পড়ুয়ারা শুধু শিক্ষিত হয়ে উঠুক তাই-ই নয়, তাঁদের ব্যক্তিত্বের পূর্ণাঙ্গ বিকাশ হোক, যাতে তারা ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারে।’
শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্য অবশ্য একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। অনেক শিক্ষাবিদের প্রশ্ন, তাই যদি হবে, তাহলে অন্যান্য ধর্মগ্রন্থগুলো সিলেবাস থেকে বাদ পড়ল কেন? সেগুলোর নির্যাস থাকলে তো পড়ুয়ারা অনেক বেশি কিছু জানত। এবং, তাঁদের জানাটা পূর্ণতা পেত। প্রায় একই বক্তব্য কংগ্রেস নেতা পি সি শর্মার।
বাকি অংশ শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।