তাঁকে বোধহয় ‘অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ বলাই চলে। মেরেকেটে দিন ৪৪ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লিজ ট্রাস। আর তিনিই কিনা রেস্তরাঁয় খাবারের বিল দিতে পারলেন না! ঘটনাটা ঠিক কী? আসুন শুনে নিই।
মাসের শেষ, হাতে টাকা-পয়সা বিশেষ নেই। আমজনতার জন্য এ বাক্য প্রযোজ্য হতে পারে! তাই বলে ভাঁড়ে মা ভবানী দশা কি হতে পারে ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীরও! সাম্প্রতিক এক ঘটনা যেন সে কথাই জানাল। খাবারের বিল দিতে যেতেই ‘কার্ড ডিক্লাইন’ হল খোদ লিজ ট্রাসের।
আরও শুনুন: যেন দশভুজা! বাচ্চাকে কোলে নিয়েই বক্তৃতা আইএএস অফিসারের, মুগ্ধ নেটদুনিয়া
অবাক করা হলেও সত্যিই বিল দিতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েছিলেন লিজ ট্রাস। সম্প্রতি লন্ডন ব্রিজের কাছে এক অভিজাত রেস্তরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন লিজ। সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক বন্ধু। লিজ যে খাদ্যরসিক আগেও তার প্রমাণ মিলেছে। এই রেস্তরাঁতে বন্ধুর সঙ্গে প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে খাওয়াদাওয়া গল্পগুজব করেন লিজ। এরপর ওয়েটার তাঁদের বিল নিয়ে আসেন। আর তখনই বাধে বিপত্তি। দেখা যায় লিজের কার্ডের মাধ্যমে কিছুতেই আর্থিক লেনদেন হচ্ছে না। বারংবার ‘কার্ড ডিক্লাইন’ মেসেজ দেখাচ্ছে যন্ত্র। লিজ এই ঘটনায় একটু অপ্রস্তুতই হন। শেষমেশ বন্ধুটিই এগিয়ে আসেন। তিনিই খাবারের বিল মিটিয়ে দেন।
আরও শুনুন: ‘ভারতমাতা বিধবা নয়’, টিপ না পরায় মহিলা সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতে নারাজ সমাজকর্মী
এদিকে এই ঘটনায় তো তাজ্জব রেস্তরাঁয় আসা অন্য মানুষরা। খোদ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাকি অ্যাকাউন্টে টাকা-পয়সা নেই, ‘কার্ড ডিক্লাইন’ হচ্ছে! ব্যাপারটা গোপনে গোপনে মাতিয়ে তোলে অন্যদের। কেউ কেউ ফিসফিসিয়ে বলতে থাকেন, আহা! এখন তো তিনি আর আগের মতো প্রধানমন্ত্রীর বেতন পাচ্ছেন না! খাবারের দাম দিয়ে লিজ ও তাঁর বন্ধু চলে যান। কিন্তু এই খবর আর কৌতুক দুই-ই ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়। তবে সত্যিই কি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হাতে টাকা নেই? ব্যাপারটা সম্ভবত সেরকম নয়। অনেকেই মনে করছেন, বিশেষ কারণে খুব অল্পদিনের মধ্যেই বার চারেক নিজের মোবাইল নম্বরটি বদলেছেন লিজ। আর সেই কারণেই এই বিপত্তি। তবে সে যাই হোক। সাধারণ মানুষকে যে পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়, খোদ লিজকেও যে তার মধ্যে পড়তে হয়েছে, এতে খানিক আমোদই পেয়েছেন আমজনতা।