বাঁচাতে পারে মোদির উল্লাস। শিক্ষা, অর্থনীতি সহ একাধিক ক্ষেত্র সচল করতে এমনটাই করতে হবে। সাহায্যপ্রার্থী পাকিস্তানকে সাফ জানিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক। সে দেশের পরিস্থিতি সামলাতে মোদির উল্লাস-ই একমাত্র উপায়, উপদেশ আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্কের। ঠিক কী করতে বলা হয়েছে ভারতের প্রতিবেশী দেশকে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
গোটা দেশের অর্থনীতির হাল বেহাল। ভেঙে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। বাধ্য হয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে অচলাবস্থা কাটাতে আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্কের পরামর্শ চেয়েছিলেন। উত্তরে ভারতের উল্লাসের কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনটা করলেই নাকি সচল হতে পারে সে দেশের অর্থনীতি-শিক্ষা।
আসলে, উল্লাস হল মোদি সরকারের এক বিশেষ প্রকল্প। সেই মডেল কাজে লাগিয়েই পাকিস্তানকে সরকারকে দেশ গড়ার কাজ শুরু করতে বলেছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক। অশিক্ষিত কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পাননি, এমন প্রাপ্তবয়স্কদের সাহায্য করতেই ‘দ্য আন্ডারস্ট্যান্ডিং অফ লাইফলং লার্নিং ফর অল ইন সোসাইটি’ বা ‘উল্লাস’ (ULLAS) চালু করেছিল ভারত সরকার। উদ্দেশ্য ছিল, সকলের জন্য শিক্ষা। ২০২৩-এ শুরু হওয়া এই প্রকল্পে যথেষ্ট সাফল্য মিলেছে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এবার সেই প্রকল্পের উদাহরণ দেখিয়েই পাকিস্তানকে উপদেশ দিল আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্ক। পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ভারতের উল্লাস প্রকল্পটির নামও। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের তরফে বলা হয়েছে, পাক সরকারকে একটি কৌশলগত এবং বহুপাক্ষিক পরামর্শমূলক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। যার ধারণা মিলবে ভারতের উল্লাস থেকে। ইসলামাবাদকে ওই ব্যাঙ্কের আরও পরামর্শ, শিক্ষা সকলের আয়ত্বে আনা আশু প্রয়োজন। তার জন্য কেন্দ্র এবং প্রাদেশিক সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। ভারতের মতো পাকিস্তানেও উল্লাস সফল হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক বিভিন্ন দেশকে ঋণ দিয়ে সাহায্য করে থাকে। পাকিস্তানও সেই তালিকায় রয়েছে। তবে বিগত কয়েক বছরে সে দেশে ঋণের বোঝা এতটাই বেড়েছে যে সবকিছু সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে প্রশাসন। অর্থনীতির সঙ্গে ভেঙে পড়েছে সে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, রাজধানী ইসলামাবাদ ছাড়া, বাকি ১৩৪টি জেলায় শিক্ষার সূচক শোচনীয়। অশিক্ষার হার বেড়েছে রীতিমতো। স্বল্প শিক্ষা নিয়েই চাকরিতে ঢুকছেন অনেকে। তাতে আখেরে ক্ষতি হচ্ছে দেশের। কারণ শিক্ষার অভাবে সেই মানের কাজ হচ্ছে না। হলেও তাতে গোল থাকছে। অবিলম্বে এই অবস্থার বদল প্রয়োজন। সেই নিয়ে পরামর্শ চাইতেই ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হয় পাক প্রশাসন। তারই উপদেশ হিসেবে ভারতের উল্লাসের কথা বললেন ব্যাঙ্কের বিশেষজ্ঞরা।