ঘোষণা হল চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার। প্রাপক দুই সাংবাদিক, মারিয়া রেসা এবং ডিমিট্রি মুরাটভ। কেন নোবেল পেলেন তাঁরা? সংবাদমাধ্যমের মুকুটে নোবেলের পালক জুড়লই বা কীভাবে?
এর আগে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন ছজন সাংবাদিক। ৮ অক্টোবর নোবেল কমিটির টুইটের পর সেই সংখ্যাটা পৌঁছল আটে। চলতি বছরে একসঙ্গে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন দুজন সাংবাদিক, মারিয়া রেসা এবং ডিমিট্রি আন্দ্রেয়েভিচ মুরাটভ। মারিয়া ফিলিপাইনসের সংবাদ সংস্থা ‘র্যাপলার’-এর সিইও। আর মুরাটভ রাশিয়ার সংবাদপত্র ‘নোভায়া গেজেটা’-র সম্পাদক। বাকস্বাধীনতা বাঁচিয়ে রাখার জন্য তাঁদের নিরন্তর প্রয়াসকে সম্মান জানাল আলফ্রেড নোবেলের তৈরি কমিটি।
আরও শুনুন: করোনার ছোবল থেকে কৃষকমৃত্যু… উৎসব কি এবার সত্যিই সবার?
ব্যক্তির মতপ্রকাশের অধিকার থাকাই গণতন্ত্রের প্রাথমিক শর্ত। কোনও দেশে শান্তি বজায় রাখার শর্তও বাকস্বাধীনতা। ধরা যাক একটি দেশের সব লোক নিজের মতের বিরুদ্ধে কোনও কথা শুনতেই প্রস্তুত নয়, তা সে কথায় যুক্তি থাক আর নাই থাক। তাহলে এমন অসহিষ্ণুতা সেই দেশে কী পরিমাণ অশান্তি তৈরি করতে পারে তা সহজেই আন্দাজ করা যায়। এদিকে সংবাদমাধ্যম এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যে কোনও ঘটনাকে নিরপেক্ষভাবে পরিবেশন করাই তার কাজ। যে কোনওরকম ক্ষমতা, প্রোপাগান্ডা, মিথ্যের বাইরে গিয়ে সত্যিকে প্রকাশ করা তার ধর্ম। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যম আসলে ধরে থাকে বাকস্বাধীনতার শর্তটিকেই। আর যদি এমন কোনও স্থান বা কাল আসে, যেখানে ক্ষুণ্ণ হয় মতপ্রকাশের গণতান্ত্রিক অধিকার? ইতিহাসে দেখা গিয়েছে, যে কোনও ক্ষমতাদর্পী শাসক সবসময়ই তাঁর অধীন স্তর থেকে উঠে আসা স্বরগুলিকে রুখে দিতে চেয়েছেন। কিন্তু ইতিহাস এ কথাও বলে, এই দমন যেমন চলতেই থাকে, পালটা রুখে দাঁড়ানোও তেমনই চিরন্তন। আর সেই পালটা জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে সংবাদমাধ্যম। ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে দেশকে রক্ষা করতে সাহায্য করে স্বাধীন সাংবাদিকতা, এমনটাই মত নোবেল কমিটির।
শুনে নিন বাকি অংশ।