ভারতবর্ষেই একজন মুসলমান পৌঁছাতে পারেন প্রশাসনের শীর্ষে। মনমোহন সিং থেকে দ্রৌপদী মুর্মুর কৃতিত্ব মনে করিয়ে দেয়, ভারতবর্ষে সকলের জন্যই সব পথ খোলা। যদিও পাকিস্তানের মতো ধর্মীয় গোঁড়ামির দেশে তা সম্ভব নয়। সম্প্রতি পাকিস্তানকে একহাত নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন আইএএস অফিসার শাহ ফয়জল।
ঋষি সুনাক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় অনেক দেশই চমকে গিয়েছে। একজন অ-শ্বেতাঙ্গ এবং হিন্দু ধর্ম অনুশীলনকারীর ব্রিটেনের মসনদে বসা, সামান্য কথা নয়। তবে ধর্ম নিয়ে গোঁড়া দেশের কাছে এ ঘটনা আশ্চর্যের হলেও ভারতের কাছে তা স্বাভাবিকই। পাকিস্তানকে নিশানা করেই এবার এই কথা বললেন আইএএস অফিসার শাহ ফয়জল।
আরও শুনুন: ধর্ম বাধা নয়, পাকিস্তানের মানুষ সযত্নে আগলে রেখেছেন শংকরাচার্যের স্মৃতি
একাধিক টুইট করে তিনি এ বিষয়ে নিজের মত প্রকাশ করেন। বলেন, ভারতবর্ষ এমন একটি দেশ যেখানে একজন কাশ্মিরী মুসলমানও সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম হতে পারে। প্রশাসনিক পদের শীর্ষসারিতে পৌঁছাতে পারে। সরকারের সঙ্গে মতভেদ হলেও, পরবর্তীতে তা দূর করে আবার সেই সরকারের অংশও হতে পারে। তাঁর বক্তব্য, পাকিস্তান বা অন্যান্য দেশের কাছে সুনাকের প্রধানমন্ত্রী হওয়া আশ্চর্যজনক। কেননা সেখানে অমুসলিমদের প্রশাসনের উচ্চপদে যেতে সাংবিধানিক বাধা আছে। কিন্তু ভারতীয় গণতন্ত্রে তা নেই। বরং এখানে সকলের জন্য সব পথ খোলা। তাই ভারতের ক্ষেত্রে এ ঘটনা আশ্চর্যজনক নয়। তাঁর দাবি, নাগরিক হিসাবে ভারতে মুসলমানরা যে স্বাধীনতা উপভোগ করেন, তা তথাকথিত ইসলাম ধর্মাবলম্বী দেশেও অভাবনীয়।
আরও শুনুন: অন্য প্রেমের গল্প! সমাজের ভ্রুকুটি উড়িয়ে উনিশের যুবককেই মন দিলেন ৫৬-র ‘যুবতী’
তাঁর নিজের জীবন দিয়েই তিনি এ-কথা বুঝেছেন বলে জানান শাহ ফয়জল। ২০১৯ সালের ব্যাচে আইএএস টপার ছিলেন তিনি। সরকারের কাজের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে এক সময় তিনি পদত্যাগ করেন। পরে জম্মু-কাশ্মীর পিপল’স মুভমেন্ট-এ যোগ দেন। এই কারণে তাঁকে আটকও হতে হয়েছিল। পরবর্তীকালে তিনি আবার সরকারি কাজে যোগ দেন। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারি হিসাবে তিনি কর্মরত। তাঁর জীবনের উদাহরণ দিয়েই ভারতবর্ষের উদারনৈতিক পরিবেশের কথা বুঝিয়েছেন ওই আইএএস অফিসার। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ থেকে দ্রৌপদী মুর্মুর উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ভারবর্ষে সকলের জন্য একই রাস্তা খোলা। সকলেই তাই শীর্ষে পদে আরোহণ করতে পারেন। সিরিজ টুইটে ভারবর্ষের উদার ও গণতান্ত্রিক পরিসরের কথাই তুলে ধরেছেন আইএএস অফিসার শাহ ফয়জল।