রাশিয়ার আকস্মিক হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেন। রাশিয়া না ইউক্রেন, কার দিকে পাল্লা ঝুঁকবে ভারতের? বিশ্বের রাজনৈতিক মহলে সেই প্রশ্ন ঘুরছে প্রথম থেকেই। ভারতের সিদ্ধান্ত এখনও অস্পষ্ট, তবে সরাসরি পক্ষ নিল ভারতেরই একটি গোষ্ঠী। কী মত তাদের? শুনে নিন।
রাতারাতি যুদ্ধে নেমে পড়েছে দুই রাষ্ট্র। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ দেখতে দেখতে গড়িয়ে গেল এক সপ্তাহে। কিন্তু যুযুধান দুই পক্ষের মধ্যে কার দিকে বাড়ানো হবে সমর্থনের হাত? সেই সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধায় পড়েছে বিশ্বরাজনীতির তাবড় তাবড় রাষ্ট্রগুলিও। আক্রমণকারী নাকি আক্রান্ত, কার পাশে দাঁড়ানো যায় তা নিয়ে দ্বিধান্বিত ভারতও। স্পষ্টই, যে কোনও দেশের সঙ্গেই চট করে রাজনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট করতে ভারত রাজি নয়। ফলে দেশের শীর্ষ মহল থেকে এখন পর্যন্ত কোনও স্পষ্ট জবাব মেলেনি। কিন্তু দেশেরই একটি দল সরাসরি জানাল, এই যুদ্ধে কোন পক্ষকে সমর্থন করছে তারা। জানাল সমর্থনের কারণও।
আরও শুনুন: এড়াতে হবে যুদ্ধের থাবা, ২০ ঘণ্টা পায়ে হেঁটে ইউক্রেনের সীমান্ত পেরোলেন যুবক
ভারতের একটি দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক দল হিন্দু সেনা। তারাই এবার সরাসরি সমর্থন জানাল রাশিয়াকে। নয়া দিল্লির মান্ডি হাউসে বিখ্যাত রুশ কবি আলেকজান্ডার পুশকিন-এর মূর্তির পাদদেশে পোস্টার লাগিয়েছে তারা। ইউক্রেনের উপর রুশ আগ্রাসন এবং রাশিয়ার অখণ্ড রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার ইচ্ছাকে সমর্থন করছে হিন্দু সেনা, এমনটাই বলা হয়েছে পোস্টারে। এই দলের জাতীয় সভাপতির মতে, ভারতের পুরনো বন্ধু রাশিয়া কঠিন সময়ে দেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল। এবার তার প্রতিদান দেওয়ার পালা ভারতের। এমনকি বাইডেনের আমেরিকাকেও একহাত নিয়েছে হিন্দু সেনা। আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমেরিকা সবসময় ভারতকে সমর্থন করেনি, এই অভিযোগ তুলে হিন্দু সেনার সভাপতি বিষ্ণু গুপ্ত বলেছেন, আমেরিকাই রাশিয়াকে প্ররোচিত করেছে এই যুদ্ধে নামতে। ভারতীয় হিন্দুরা রাশিয়ার পাশে আছে, এমনকি প্রয়োজনে তারা যুদ্ধেও যোগ দেবে, গোটা বিশ্বের কাছেই এই বার্তা পৌঁছে দিতে চান তিনি।
আরও শুনুন: ‘ভয় করছে’, মাকে শেষ মেসেজে জানিয়েছিলেন নিহত রুশ সেনা
ব্রিটিশের ষড়যন্ত্রে ভারত খণ্ড খণ্ড হয়ে গিয়েছিল। না হলে আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত থাকত, হিন্দু সেনার তরফে এমনই মত জানিয়েছেন বিষ্ণু গুপ্ত। তেমনই, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পিছনেও আমেরিকার চাল রয়েছে বলে তাঁর মত। সেই কারণেই অখণ্ড ভারতের সঙ্গে অখণ্ড রাশিয়ার তুলনা করে তাঁর আশা, খুব তাড়াতাড়িই ফের অখণ্ড রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠবে এই দুটি দেশ।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্ধ ভক্ত এই হিন্দু সেনার সদস্যরা। জো বাইডেনকে একেবারেই না-পসন্দ তাঁদের। সুতরাং আমেরিকার পরোক্ষ সমর্থন পাওয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধেই যে দাঁড়াবে তারা, সে কথা বলাই বাহুল্য।