ফের ধর্ম আর রাজনীতির মিশেলে মাথাচাড়া দিল নয়া বিতর্ক। গোরক্ষকদের কোপে পড়লেন হরিয়ানার এক কংগ্রেস বিধায়ক। কী ঘটেছে ঠিক? শুনে নেওয়া যাক সে কথা।
ধর্মীয় বিভাজনের সূত্র ধরে ফের নয়া তরজার আভাস মিলল রাজনৈতিক মহলে। এবার গোরক্ষকদের কোপে পড়লেন হরিয়ানার এক কংগ্রেস বিধায়ক। তাঁকে বিধানসভায় ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, এমনটাই দাবি ওই বিধায়কের। ওই বিধায়ক ধর্মপরিচয়ে মুসলিম হওয়ার কারণেই কি দেওয়া হল এহেন হুমকি? এই ঘটনায় উঠে আসছে এমন প্রশ্নও। সব মিলিয়ে নয়া বিতর্কের জেরে ফের উত্তপ্ত গোবলয়ের রাজনীতি।
আরও শুনুন: ধর্মীয় প্রথা বন্ধের প্রতিবাদ করে প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা, মোদির সাক্ষাৎপ্রার্থী তামিলনাড়ুর পুরোহিত
কী ঘটেছে ঠিক?
জানা গিয়েছে, হরিয়ানার ফিরোজপুর এলাকার কংগ্রেস বিধায়ক মাম্মন খান। তাঁর দাবি, সম্প্রতি গোরক্ষক শিবিরের তরফে তাঁকে রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, সে রাজ্যের বিধানসভায় তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। রাজ্য প্রশাসনের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও এহেন হুমকির মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ওই বিধায়ক। সূত্রের খবর, এর আগে গোরক্ষক শিবিরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন তিনি। আর তারই জেরে এবার বিধায়কের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে হিন্দুত্ববাদী সম্প্রদায়ের ওই সদস্যরা।
আরও শুনুন: দেশদ্রোহ আইন বাতিল নয়, অপব্যবহার রুখতে চাই নির্দেশিকা, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র
তাঁর সাংবিধানিক এলাকার আওতায় থাকা নুহ গ্রামের প্রসঙ্গে বিধায়ক মাম্মন খান বলেছিলেন, হিংস্র গোরক্ষকদের সেই গ্রামে প্রবেশ নিষেধ। সেই কথার জের টেনেই বর্তমানে এই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। যদিও আত্মপক্ষ সমর্থন করে ওই বিধায়ক বলেছেন, একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবেই সে কথা বলেছিলেন তিনি। তাঁর প্রশাসনিক এলাকায় শান্তি এবং নিরাপত্তা বজায় রাখা তাঁর কর্তব্য। সেই কারণেই বেআইনি অস্ত্র ব্যবহার, মারামারি, ভাঙচুরের মতো ঘটনা প্রতিরোধ করতে চেয়েছিলেন তিনি।
নিজের পুরনো বক্তব্য থেকে এখনও সরছেন না ওই বিধায়ক। তিনি আরও বলেছেন, “কোনও রাজ্যের বিধায়কই যদি এই উন্মাদদের হাত থেকে বাঁচতে না পারে, তাহলে বুঝুন আমজনতার ক্ষেত্রে আদৌ কতখানি নিরাপত্তা রয়েছে?” হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশের ডিজিকে এ বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি। যদি তাঁর কিংবা তাঁর পরিবারের কোনও ক্ষতি হয়, সরকারকেই তার দায় নিতে হবে বলেও সাফ জানিয়েছেন ওই বিধায়ক। সব মিলিয়ে, ধর্মীয় অনুষঙ্গের সূত্র ধরেই আরও একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোবলয়ের রাজনৈতিক মহল।