বিয়ে করলে টাকা পাবেন নববিবাহিত যুগল, এমনটা নাহয় শোনা যায়। কিন্তু বিয়ে না করলে মিলবে টাকা? অর্থাৎ কিনা, বিয়ে না করাটাই হয়ে দাঁড়াচ্ছে টাকা পাওয়ার শর্ত। আর এমন ঘোষণা করা হচ্ছে খোদ সরকারের তরফ থেকেই। কোথায় ঘটেছে এমন ঘটনা? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
যে কোনও প্রশাসনের কাছে জনসংখ্যার বিষয়টি রীতিমতো গুরুত্বপূর্ণ। জনসংখ্যার বাড়তি চাপ এলে যেমন সরকারের সমস্যা বাড়ে, তেমনই আবার জনসংখ্যা হঠাৎ করে কমতে শুরু করলেও উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে সরকার। সেই কারণেই বিয়ে এবং নতুন প্রজন্ম সৃষ্টির বিষয়টিকে সরকারের তরফে সবসময়ই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। সম্প্রতি যেমন চিনে দেখা গিয়েছে, বিয়ের হার ক্রমশ কমতে থাকায় কপালে ভাঁজ পড়েছে চিন সরকারের। আবার এ দেশের বিভিন্ন রাজ্যও মেয়েদের বিয়ের সুবিধার জন্য কোনও কোনও প্রকল্প চালু করেছে। কিন্তু দেশের এই রাজ্যটি এবার হাঁটল তার সম্পূর্ণ উলটো পথে। অবিবাহিত পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য চালু করা হবে পেনশন, এমনই প্রকল্প শুরু করার পরিকল্পনা হরিয়ানা সরকারের। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর নিজেই জানিয়েছেন, তাঁর সরকার রাজ্যের অবিবাহিত বাসিন্দাদের জন্য একটি পেনশন প্রকল্প চালু করার পরিকল্পনা করছে। ৪৫ থেকে ৬০ বছর বয়সি মানুষেরাই এর সুবিধা পাবেন।
আরও শুনুন: কনের বয়স্ক দাদাকে বিয়েতে বাধ্য বরের বোন! রাজস্থানের অদ্ভুত প্রথার বলি বহু তরুণী
সম্প্রতি হরিয়ানার করনাল জেলার কমলপুরা গ্রামে ‘জন সংবাদ’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন খট্টর। সেখানেই অববাহিতদের জন্য সরকারি ভাতা চালু করা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। তার উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দেন, শীঘ্রই অবিবাহিতদের জন্য পেনশন প্রকল্প চালু করার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। তবে এই প্রকল্পে ঠিক কত টাকা করে দেওয়া হবে, সেই বিষয়ে সরকারের তরফে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। মনে করা হচ্ছে, অবিবাহিতদের পেনশন প্রকল্পের টাকার পরিমাণ বার্ধক্য ভাতার সমান, অর্থাৎ মাসিক ৩ হাজার করে হতে পারে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রবীণ নাগরিক, বিধবা, প্রতিবন্ধী, বামন এবং রূপান্তরকামীদের জন্য পেনশন প্রকল্প চালু করছে হরিয়ানা সরকার। সেই তালিকায় এবার নয়া সংযোজন অবিবাহিত পুরুষ ও নারীরাও। এই প্রকল্পের ফলে সে রাজ্যের প্রায় দু’লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। অবিবাহিত ভাতা সম্পর্কে মাসখানেকের মধ্যেই বিস্তারিত জানানো হবে বলে ঘোষণা করেছে হরিয়ানার খট্টর সরকার।