কথায় বলে, মাঘের শীত বাঘের গায়ে। মাঘ পড়তে অবশ্য দেরি আছে, তবে পৌষেই যে শীতের বহর, তাতে পশুপাখিদের জন্যও আলাদা ভাবনাচিন্তা করতে হচ্ছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে। এই সুবাদেই বেশ কয়েকটি ব্যবস্থা নেওয়া হল গুয়াহাটিতে। এখানে কী কী সুবিধা পাবে পশুখাখিরা? আসুন শুনে নিই।
পৌষের শীত যেন মাঘেরও বাড়া। হঠাৎ এমন শীতের দাপট যে, এক ধাক্কায় কাহিল হয়ে পড়েছে মানুষ। লেপ-কম্বল, উলের ভারী সোয়েটার- সবই বেরিয়ে পড়েছে। শীতের বাউন্সার আটকাতে এগুলিই ভরসা মানুষের। কিন্তু পশুপাখিদের তো সেই সুবিধা নেই। তাহলে কী উপায়? উপায় অবশ্য আছে। আর সেই বন্দোবস্তই করেছে গুয়াহাটি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
আরও শুনুন: একই রাতে জন্ম যমজ বোনের, তবু বয়সের পার্থক্য ১ বছর! জানালেন দম্পতি
শীতের কামড় থেকে রক্ষা করতে সব পশুদের জন্য গড়ে এক রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখানেও পশুভেদে ব্যবস্থা ভিন্ন। প্রথমে বাঘ-সিংহের কথাতেই আসা যাক। তাদের জন্য বসানো হয়েছে হিটার। খাঁচার কাছাকাছিই রাখা হয়েছে এই হিটারগুলি। চিড়িয়াখানা কর্মীরা সর্বক্ষণ নজর রেখেছেন, যাতে শীতের থাবা থেকে রক্ষা পায় সিংহ ও বাঘ। আবার ভালুকের জন্য আবার আলাদা ব্যবস্থা। ফসল কেটে নেওয়ার পর যা অবশিষ্ট পড়ে থাকে তা দিয়েই ভালুকের ঘর উষ্ণ রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাখিরা আবার নরম-সরম প্রকৃতির। তাদের জন্য তাই আলাদা ভাবনাচিন্তা করেছে কর্তৃপক্ষ। ঠান্ডা হাওয়ার থেকে তাদের রক্ষা করতে খাঁচার চারিদিকে প্লাস্টিকের আচ্ছাদন দেওয়া হয়েছে। মূলত রাতের জন্যই এই ব্যবস্থা। তা ছাড়া তাদের খাঁচায় জ্বালিয়ে রাখা হচ্ছে বাল্ব, যাতে শীত কেটে উষ্ণ থাকে পাখিদের আবাসস্থল। রাতপাখি বা নিশাচরদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে বিশেষ বাক্সের। এভাবেই শীতের দিনে পশু-পাখিদের খেয়াল রাখছে চিড়িয়াখান। চিড়িখানার তরফে রজনীকান্ত ডেকা এই ব্যবস্থার কথা জানিয়ে বলেছেন, শীতে পশু-পাখিরা যাতে কষ্ট না পায়, তার জন্য সবরকম ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে।
সত্যি বলতে, শীতের মরশুমে বহু মানুষই ভিড় জমান চিড়িয়াখানায়। কিন্তু এই শীতের দিনে পশুরা কেমন আছে, তার খবর সেভাবে রাখা হয় না। চিড়িয়াখান কর্তৃপক্ষ যত্ন করে যে পশুদের উষ্ণ রাখার ব্যবস্থা করেছে, তাতে নিঃসন্দেহে সাধুবাদ প্রাপ্য তাদের।