দশেরাতেও ফের উসকে উঠল সনাতন ধর্ম নিয়ে বিতর্ক। যেখানে রাবণকে কার্যত সনাতন ধর্মের বিরোধী বলেই দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি সনাতন ধর্মের সমালোচকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে খোদ লাল কেল্লায় পোড়ানো হল কুশপুতুল। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
দশেরায় রাবণের কুশপুতুল পোড়ানো হবে, এ রীতি নতুন কিছু নয়। কিন্তু এবার উত্তর ভারতের এই চিরাচরিত প্রথার সঙ্গেও জুড়ে গেল সনাতন ধর্ম ইস্যুতে বিতর্ক। দিল্লির লাল কেল্লায় কুশপুতুল পুড়িয়েই বার্তা দেওয়া হল, যে সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে যাবে, ধ্বংস করে দেওয়া হবে তাকেই।
আরও শুনুন: পুজোতেও দিনরাত এক করে চলছে কাজ, কার হাতে তৈরি হচ্ছে অযোধ্যার রামমূর্তি?
রাবণের সঙ্গে উদ্দাম যুদ্ধের পর তাকে বিনাশ করেছিলেন দেবী দুর্গা। শাস্ত্রের সেই অনুষঙ্গকে মনে রেখেই প্রতি বছর দশেরায় রাবণের কুশপুতুল দাহ করা হয়। এই প্রথার মধ্যে দিয়েই সূচিত হয় অশুভের বিনাশ। এবার দিল্লি এবং লখনউতে দেখা গেল, সেই কুশপুতুলের সঙ্গেই জুড়ে দেওয়া হয়েছে সনাতন ধর্মের সমালোচকদের প্রতি কড়া হুঁশিয়ারি। দশেরা উপলক্ষে লাল কেল্লা প্রাঙ্গণে বড় করে কুশপুতুল দহনের আয়োজন করা হয়েছিল। যে অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে বলি তারকা কঙ্গনা রানাউতও। আর সেখানেই দেখা যায়, কোনও কোনও কুশপুতুলের গায়ে রীতিমতো ব্যানার টাঙানো, যাতে লেখা ‘সনাতন ধর্মের সমালোচক’, কিংবা সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে গেলেই কোনও সমালোচককে ধ্বংস করে দেওয়া হবে।
আরও শুনুন: ‘শ্রাদ্ধের সাজ নাকি!’ বিজ্ঞাপনে টিপ নেই মডেলের কপালে, বয়কটের ডাক নামী সংস্থাকে
আসলে কিছুদিন আগেই সনাতন ধর্ম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোড়ন ফেলেছিলেন স্ট্যালিনপুত্র উদয়ানিধি। এক কথায় সনাতন ধর্মের সঙ্গে রোগ ব্যাধির তুলনা টেনেছিলেন ডিএমকে-র এই তরুণ নেতা। ন্যায় ও সাম্যের বিরোধী সনাতন ধর্মের আদর্শকে মুছে ফেলার কথা বলে তিনি সাফ বলেছিলেন, ম্যালেরিয়া-ডেঙ্গির মতো রোগকে যেমন নিশ্চিহ্ন করার প্রয়োজন রয়েছে, তেমনই সনাতন ধর্ম ও তার আদর্শকেও সমাজ থেকে মুছে ফেলার প্রয়োজন রয়েছে। আর তাঁর সেই মন্তব্য নিয়েই উঠেছে বিতর্কের ঝড়। প্রত্যাশিত ভাবেই তাঁর মন্তব্যকে হাতিয়ার করে ময়দানে ঝাঁপিয়েছে গেরুয়া শিবির। ওই মন্তব্যে আসলে সনাতন ধর্ম তথা হিন্দু ধর্মকে অপমান করা হয়েছে, এই মর্মে জোর প্রচার শুরু করেছে হিন্দুত্ববাদী শিবির। এবার দশেরার অনুষ্ঠানেও জুড়ে গেল সনাতন ধর্ম নিয়ে সেই বিতর্কই।