ভোট দিলেই মিলবে উপহার। শৌখিন কিছু অবশ্য নয়। মহিলাদের প্রয়োজনের কথা ভেবেই নয়া ব্যবস্থা কমিশনের। ভোট দিলেই উপহার হিসেবে স্যানিটারি ন্যাপকিন দেওয়া হয়েছে মহিলাদের। কোথায় ঘটেছে এমনটা? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ভোট দেওয়া নাগরিক কর্তব্য। তবু ভোটদানে সাধারণ মানুষকে উৎসাহ যোগাতে নানা কর্মসূচি নেয় কমিশন। নির্বাচনের দিনক্ষন ঘোষণার আগে থেকেই চলে সেই প্রচার। তবে স্রেফ প্রচার নয়। প্রথম দফার নির্বাচনে ভোটারদের উপহারও দিয়েছে কমিশন। মূলত মহিলারাই উপহার পেয়েছেন। তবে কমিশনের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেকেই।
আরও শুনুন: ‘ইসলামিক দেশে ওড়না নেই কেন?’ সাক্ষাৎকারের আগেই সঞ্চালিকার মাথা ঢাকলেন পাকিস্তানি যুবক
দেশজুড়ে প্রথম দফার নির্বাচন হয়েছে ১০২ আসনে। তার মধ্যে অরুণাচল প্রদেশের কিছু অংশও ছিল। সেখানেই মহিলা ভোটারদের উপহার হিসেবে স্যানিটারি ন্যাপকিন দিয়েছে কমিশন। এমনিতে ভরা গরমে ভোট পড়ায় ভোটারদের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা করেছে কমিশন। বসার জায়গা, জলের ব্যবস্থা সেসব রাখার নির্দেশ ছিল প্রতিটি বুথেই। কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তার জন্যও ছিল বিশেষ ব্যবস্থা। এছাড়া মহিলা ভোটারদের কথা মাথায় রেখে বিশেষ বুথেরও আয়োজন করে কমিশন। বুথের দায়িত্বে মহিলারাই। এবং সেখানে ভোটও দিয়েছেন মহিলারাই। কমিশনের তরফে এই বুথের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সখী বুথ’। অরুণাচল প্রদেশে এমুই দুই সখী বুথে মহিলাদের উপহার হিসেবে ন্যাপকিন দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এলাকার মোট ১৪০০ ভোটারের মধ্যে ৬০০ জন ভোট দিয়েছেন দুই বুথে। সংখ্যার দিক দিয়ে যা নেহাতই কম। কিন্তু ভোত দিয়ে এভাবে ন্যাপকিন উপহার পাবেন তা ভাবতেও পারেননি এলাকার মহিলারা। কাজেই উপহার পেয়ে সকলেই বেজায় খুশি।
আরও শুনুন: মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই শেষ ভোটদান! সবচেয়ে কম সময়ে নির্বাচনের নজির গড়ল কারা?
বুথের দায়িত্বে থাকা অফিসারদের কথায়, সকলেই এমন উপহার পেয়ে বেশ খুশি হয়েছেন। কেউ কেউ নিজের জন্য, কেউ বা বাড়ির অন্য মহিলা সদস্যদের জন্য উপহার নিয়ে গিয়েছেন। আসলে ভোটদানে উৎসাহ যোগানোর পাশাপাশি মেন্সট্রুয়াল হাইজিন সম্পর্কে সকলকে সচেতন করাও গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করেছেন তাঁরা। তাই এই বিশেষ ব্যবস্থা। আসলে ঋতুকালীন অবস্থায় এখনও অনেক মহিলাই কাপড় ব্যবহার করেন। যা মোটেও স্বাস্থকর নয়। তাই মহিলাদের মধ্যে ঋতুকালীন স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতেই এই স্যানিটারি ন্যাপকিন বিলির ব্যবস্থা করে কমিশন। সেইসঙ্গে ভোটদানে উৎসাহ জোগানোর বিষয়টাকেও জুড়ে দেওয়া হয়। এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছে সেখানকার প্রশাসনও। মহিলাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই ধরনের ব্যবস্থা প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন সকলে।