যার যত বউ তার তত লাভ! ভোতপ্রচারে এমনই দাবি কংগ্রেস নেতার। যাতে বেজায় চটেছে বিজেপি নেতৃত্ব। কমিশনের কাছে নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আরজিও জানানো হয়েছে। ঠিক কী মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ক্ষমতায় এলে অমুক রাস্তা তৈরি হবে। সবার অ্যাকাউন্টে ঢুকবে এত পরিমাণ টাকা। কিংবা নতুন করে চালু হবে বিশেষ প্রকল্প… ভোটের আবহে রাজনৈতিক দলের ইস্তেহারে এসবই থাকে। প্রচারে বেরিয়ে সেইসব প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেন নেতারা। সম্প্রতি সেই কাজ করতে গিয়েই বিতর্কে জড়িয়েছেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা কান্তিলাল ভুরিয়া।
আরও শুনুন: ৫২ কেসে অভিযুক্ত হয়ে ছিলেন জেলে, প্যারোলে বেরিয়ে ভোট প্রচারে বিহারের ‘ছোটে সরকার’
দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফা সম্পন্ন হয়েছে। বাকি আরও চার। যার মধ্যে এমন কিছু কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছে রাজনৈতিক মহল। তাই প্রচারে খামতি রাখছেন না কেউ। সরকার পক্ষ হোক বা বিরোধী, জনতাকে নানা প্রতিশ্রুতির আশ্বাস দিচ্ছেন সকলেই। সেখানে বেফাঁস কিছু বললেই সমস্যা। মুহূর্তে বিপক্ষের তরফে ধেয়ে আসবে আক্রমণ। সবসময় যে বিরোধীরা তোপ দাগছেন তা নয়। বেফাঁস মন্তব্যের অভিযোগে সরব হচ্ছেন সরকার পক্ষের নেতারাও। ফল হিসেবে অভিযোগের পাহাড় জমছে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে।
আরও শুনুন: মোদির আমলে রেকর্ড চাকরি, ইতিহাসে এমনটা হয়নি! দাবি অর্থনীতিবিদের
মধ্যপ্রদেশের ঘটনাই ধরা যাক। সম্প্রতি নির্বাচনী ইস্তেহার সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন সেখানকার কংগ্রেস নেতা কান্তিলাল ভুরিয়া। আসলে, চলতি নির্বাচনের ইস্তেহারে মহিলাদের জন্য একাধিক পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে কংগ্রেস। যার অন্যতম মহালক্ষ্মী যোজনা। কংগ্রেসের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, ক্ষমতায় এলে মহিলাদের বছরে ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। যারা বিপিএল আওতাভুক্ত তাঁরা পাবেন এই টাকা। এবং ততদিন পাবেন যতদিন না বিপিএল তকমা মুছছে। এই প্রকল্পের ব্যাখ্যা দিতে গিয়েই কান্তিলাল বলেন, যার যত বউ তার তত লাভ। অর্থাৎ কারও দুই স্ত্রী থাকলে সেই বাড়িতে দু-লাখ টাকা দেবে সরকার। কাজেই সংসার চালাতে সামগ্রিক ভাবেই সুবিধা হবে। তাঁর মন্তব্যকে সমর্থন জানান আরও এক কংগ্রেস নেতা। কিন্তু এই মন্তব্য মোটেও ভালোভাবে নেয়নি বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এই ভাবে কংগ্রে নেতা মহিলাদের অপমান করেছেন। টাকা দেওয়ার প্রসঙ্গ তিনি যেভাবে তুলেছেন, তাতে বিজেপি মনে করছে মহিলাদের পণ্য হিসেবে দেখাতে চাইছেন কংগ্রেস নেতা। শুধু ওই নেতাকেই নয়, সামগ্রিক ভাবে হাত শিবিরকেই দুষেছে বিজেপি নেতৃত্ব। এবং কমিশনের কাছেও এই বিষয়ে পদক্ষেপের আরজি জানানো হয়েছে। এমনিতেই ভোটের আগে বেফাঁস মন্তব্যের জেরে বিতর্কে জড়িয়েছেন বহু রাজনৈতিক নেতা। সেই তালিকাতেই এবার যোগ হল মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতার নাম। ঘটনায় কমিশনের তরফে আদৌ কোনও পদক্ষেপ করা হয় কি না, সেটাই দেখার।