ভারতে এসেছেন উইল স্মিথ। সুতরাং আর হাতে নয়, এবার মুখে মারার শিক্ষা নিতে পারবেন তিনি। এমনটাই বললেন কৌতুকশিল্পী বীর দাস। পরোক্ষে বুঝিয়ে দিলেন, কমেডিয়ানদের প্রতি কী মনোভাব পোষণ করে এ দেশ। শুনে নেওয়া যাক।
অস্কার মঞ্চে চড়-কাণ্ডের পর এবার ভারতেই দেখা গেল মার্কিন অভিনেতা উইল স্মিথকে। শনিবার তাঁকে মুম্বই বিমানবন্দরে দেখার পর স্বাভাবিকভাবেই হইচই পড়ে যায় পাপারাৎজিদের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে ফের বিতর্ক উসকে দিলেন ভারতীয় কৌতুকশিল্পী তথা অভিনেতা বীর দাস।
আরও শুনুন: দুই ভারতের গল্প… রাহুলের বক্তৃতা কি কমেডিয়ান বীর দাসের লেখা? প্রশ্ন নেটদুনিয়ায়
উইল স্মিথের ভারত সফর প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন বীর দাস। সেই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ভারতে এসেছেন উইল স্মিথ? ভাল। এবার তাহলে তিনি শিখতে পারবেন, হাত দিয়ে চড় মারার বদলে কীভাবে মামলা ঠুকে কমেডিয়ানদের শায়েস্তা করা যায়। আসলে কৌতুকশিল্পীদের প্রতি কী মনোভাব পোষণ করে এ দেশ, স্বভাবসুলভ ব্যঙ্গে সে কথাই বুঝিয়েছেন এই খ্যাতনামা কমেডিয়ান। কারণ সেই মনোভাবের দরুন যে কেমন বিপাকে পড়েন কমেডিয়ানরা, সে কথা ভালমতোই জানেন তিনি। ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে একটি স্ট্যান্ড-আপ কমেডি শোয়ে বীর দাস শুনিয়েছিলেন একই ভারতের দুই রূপের কথা। ‘আই কেম ফ্রম টু ইন্ডিয়াজ’ নামে তাঁর নিজের শোয়ে বীরের মন্তব্য ছিল, ‘‘আমি এমন ভারতের বাসিন্দা, যেখানে আমরা দিনে নারীদের দেবী রূপে পুজো করি এবং রাতে তাঁদেরই গণধর্ষণ করি।’’ আর সেই বক্তব্যের পরেই গেরুয়া শিবিরের রোষানলে পড়েন এই শিল্পী। তাঁর বিরুদ্ধে সোজা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন দিল্লি বিজেপি-র মুখপাত্র আদিত্য ঝা। এমনকি এই ঘটনার জেরে মধ্যপ্রদেশে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় তাঁর কমেডি শো।
আরও শুনুন: মিলল DCGI-এর ছাড়পত্র, শীঘ্রই ভারতীয় বাজারে আসছে কোভিড-প্রতিরোধী ট্যাবলেট
একা বীর দাস-ই নন, এহেন আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছেন কৌতুকশিল্পী মুনাওয়ার ফারুকি-ও। নিছক একটি রসিকতার জেরে মাসখানেক হাজতবাস করতে হয়েছে তাঁকে, যদিও পরে জানা গিয়েছে তিনি আদৌ তেমন কোনও কথা বলেননি। পেশায় এঁদের মতোই স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান ক্রিস রক। অস্কার মঞ্চে যিনি সপাটে চড় খেয়েছেন উইল স্মিথের হাতে। সেই প্রসঙ্গ টেনেই এই টুইটটি করেছেন বীর দাস। তবে সে কথার আড়ালে রয়েছে তাঁর ব্যক্তিগত ক্ষোভের কথাও। যে দেশের সংবিধান বাকস্বাধীনতার কথা বলে, সেই দেশেই আবার কোনও কৌতুকশিল্পীকে ব্যঙ্গ করার পরিণামে হাজতে যেতে হয়। নিজের টুইটে এহেন প্রবণতাকেই কার্যত বিঁধেছেন খ্যাতনামা এই কৌতুকশিল্পী।