হিন্দু দেবতাদের পুজো করার প্রয়োজন নেই। পরিবর্তে বৌদ্ধ ধর্মের শরণ নিতে পরামর্শ দিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। আর রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার আবহে এহেন পরামর্শ দিয়েই গ্রেপ্তার হতে হল তাঁকে। শুনে নেওয়া যাক।
অযোধ্যায় রাম মন্দিরে রামলালার প্রতিষ্ঠা ঘিরে দেশজুড়ে ভক্তির জোয়ার। একে হিন্দু ধর্মের জাগরণ বলে দাবি করছেন হিন্দু ধর্মের একটা বড় অংশ। সেই আবহেই হিন্দু দেবদেবীদের পুজো না করার পরামর্শ দিয়ে বিপাকে পড়লেন এক শিক্ষক। হিন্দু ধর্মের পরিবর্তে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করার কথা বলেছিলেন তিনি। সে ঘটনার জেরেই গ্রেপ্তার হতে হয়েছে ওই ব্যক্তিকে।
কী ঘটেছে ঠিক?
আরও শুনুন: গড়েছেন মুসলিমরা, পুজোও করেন তাঁরাই, যোগীরাজ্যে রয়েছে এমনও এক শিবমন্দির
জানা গিয়েছে, এ ঘটনা ঘটেছে ছত্তিশগড়ের বিলাসপুর জেলার মোহতরাই গ্রামে। রাম মন্দির উদ্বোধনের আবহেই সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের এক অংশকে জড়ো করেছিলেন স্থানীয় এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক। রাতালাল সরোবর নামের ওই ব্যক্তি ভারারি গ্রামের এক প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক। রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার আবহেই স্থানীয়দের সামনে বক্তব্য রাখেন বছর ষাট বয়সের ওই ব্যক্তি। জড়ো হওয়া বাসিন্দাদের মধ্যে খুদে বা অল্পবয়সিরাও ছিল। উপস্থিত সকলের কাছেই হিন্দু দেবদেবীদের বিশ্বাস না করার আর্জি জানিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। বলেছিলেন, রাম বা কৃষ্ণ বা শিব, কোনও দেবতাকেই পুজো করারও প্রয়োজন নেই। পরিবর্তে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করার কথাও বলেছিলেন তিনি, যে ধর্মের মূল কথা অহিংসা।
আরও শুনুন: ‘জয় শ্রী রাম’ বলেই অধ্যাপকের পা ছুঁয়ে প্রণাম, ব্রিটেনে ভারতীয় পড়ুয়ার কাণ্ডে শোরগোল
আসলে মন্দির প্রতিষ্ঠা ঘিরে দেশের কোথাও কোনও অশান্তির পরিবেশ তৈরি হবে কি না, এমন আশঙ্কা করেছিলেন অনেকেই। তাঁদের ভয় ছিল, এক ধর্মের গুরুত্ব বাড়লে অন্য কোনও ধর্মের সঙ্গে তার সংঘাতের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। তেমনই কোনও আশঙ্কা থেকে ওই শিক্ষক অহিংসার কথা বলেছিলেন কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তবে তাঁর এই বক্তব্য আসলে হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত, এই মর্মে সোচ্চার হয়েছেন হিন্দুদের একাংশ। সেই অভিযোগেই পুলিশের কাছেও দায়ের হয়েছিল এফআইআর। তার জেরেই এবার গ্রেপ্তার হলেন এই শিক্ষক।