চাঁদে পৌঁছানোর আগেই মুখ থুবড়ে পড়বে চন্দ্রযান ৩। এই মর্মেই বিদ্রুপ ছুড়ে দিয়েছিলেন কর্ণাটকের এক অধ্যাপক। কিন্তু সেই তামাশার জেরে এবার উলটে বিপাকে পড়লেন তিনিই। এই ইস্যুতে তাঁর কৈফিয়ত তলব করল খোদ প্রশাসন। কী ঘটেছে ঠিক? শুনে নিন।
দীর্ঘদিন ধরেই চাঁদে অভিযানকে পাখির চোখ করেছেন দেশের মহাকাশবিজ্ঞানীরা। এর আগে উৎক্ষেপণ সফল হলেও চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়েছিল চন্দ্রযান-২। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার আরও সতর্ক ইসরোর বিজ্ঞানীরা। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের ‘লঞ্চিং প্যাড’ থেকে আপাতত সফলভাবেই চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে চন্দ্রযান-৩। যা নিয়ে বিপুল উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যেও। কিন্তু এই অভিযান নিয়েই সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ব্যঙ্গ করেছিলেন কর্ণাটকের এক অধ্যাপক। তাঁর সাফ দাবি ছিল, গতবারের মতো এবারেও লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই ব্যর্থ হবে চন্দ্রযান। কিন্তু চন্দ্রযান অভিযানকে যেভাবে বিপুল গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার, সেই প্রেক্ষিতে এহেন ব্যঙ্গবিদ্রুপ মোটেও ভাল চোখে দেখছে না বিজেপি শিবির। আর তার জেরেই রীতিমতো বিপাকে পড়লেন ওই অধ্যাপক।
কী ঘটেছে ঠিক?
আরও শুনুন: নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি চেয়েছিলেন, হেনস্তায় অভিযুক্ত ব্রিজভূষণের পক্ষে সওয়াল সেই আইনজীবীরই
জানা গিয়েছে, ওই টুইটটি করেছিলেন হুলিকুন্তে মূর্তি নামের এক ব্যক্তি। তিনি কর্ণাটকের মালেশ্বরমের একটি প্রি-ইউনিভার্সিটি পর্যায়ের কলেজের অধ্যাপক। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্রুপের সুরে তিনি সাফ বলেছিলেন, এবারের চন্দ্রাভিযানও সফল হবে না। এমনিতে এই অভিযান নিয়ে অল্পবিস্তর বিতর্ক যে নেই তা নয়। কিন্তু ওই অধ্যাপকের সুরে সুর মেলানো দূরে থাক, উলটে অন্য সুরেই কথা বলেন নেটিজেনরা। এহেন মন্তব্যের জেরে সোশ্যাল মিডিয়াতেও রীতিমতো আক্রমণের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। কিন্তু সমালোচনার ঝড় কেবল সেখানেই থেমে থাকেনি। এই ইস্যুতে জল গড়িয়েছে সরকার পর্যন্ত। ওই অধ্যাপকের টুইট নিয়ে পদক্ষেপ করেছেন বিজেপি নেতা এস সুরেশ কুমার। এই ইস্যুতে কর্ণাটকের নতুন শিক্ষামন্ত্রী মধু বঙ্গরাপ্পা-র দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দাবি করেছেন ওই বিজেপি নেতা। ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই ওই অধ্যাপকের কৈফিয়ত তলব করেছে সে রাজ্যের প্রি-ইউনিভার্সিটি শিক্ষা দপ্তরও। অধ্যাপকের জবাবের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তী পদক্ষেপ করবে দপ্তর, এমনটাই জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।