প্রথম পাতায় বড় করে রাহুলের ছবি। সঙ্গে ঝুড়ি ঝুড়ি প্রশংসা। রাগের চোটে খবরের কাগজটাই বয়কটের ডাক দিলেন বিজেপি নেতা। জনপ্রিয় ওই সংবাদপত্রের সঙ্গে দীর্ঘ পাঁচ দশকের সম্পর্ক তাঁর। বিরোধী নেতার প্রশংসা দেখে তাই শেষ করলেন নেতা। কে করেছেন এমন কাণ্ড? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
লোকসভা অধিবেশনে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। এই নিয়ে প্রায় সমস্ত সংবাদপত্রেই লেখালেখি চলেছে। এমনই এক সংবাদপত্র রাহুলের প্রশংসা করে প্রথম পাতা ভরিয়ে দিয়েছিল। যা দেখার পর রীতিমতো চটে যান দক্ষিণের এক বিজেপি নেতা। বিরোধী দলনেতার প্রশংসা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেননি তিনি। তাই খবরের কাগজটাকেই বয়কটের ডাক দেন বিজেপি নেতা।
আরও শুনুন:
ক্ষমতায় এলে এমনই থাকবেন, না বদলে যাবেন? ব্যাখ্যা দিলেন রাহুল
কথা বলছি, কেরলের বিজেপি নেতা ভি মুরলীধরন সম্পর্কে। একসময় সে রাজ্যের মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। কাজেই রাজনৈতিক মহলে বেশ পরিচিতি রয়েছে তাঁর। সেই সুবাদে রাজ্যের সমস্ত সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও তাঁর বেশ পরিচয় রয়েছে। রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় পত্রিকা ‘মাত্রভূমি’-র নিয়মিত পাঠক ছিলেন মুরলীধরন। বিগত পাঁচ দশক ধরে তাঁর সঙ্গে এই সংবাদপত্রের সম্পর্ক। রাজনীতি জীবনে তাঁর যাবতীয় ওঠাপড়ার সাক্ষী এই কাগজই। তবে সম্প্রতি মাত্রুভূমের সঙ্গে সম্পর্ক চিরকালের মতো বন্ধ করেছেন বিজেপি নেতা। যার নেপথ্যে রয়েছে লোকসভা অধিবেশনে রাহুল গান্ধীর বক্তব্য।
আরও শুনুন:
চোখা বক্তৃতায় বাজিমাত রাহুলের, তবুও কোন কোন অংশ বাদ গেল সংসদের খাতায়?
সম্প্রতি লোকসভা অধিবেশনে বক্তব্য রাখার সময় হিন্দু ধর্ম সহ একাধিক প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে রীতিমতো কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। সরাসরি দাবি করেন, বিজেপি গোটা দেশে হিংসা এবং ঘৃণা ছড়িয়ে চলেছে। সংসদে বসেই তাঁর সেইসব মন্তব্যের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন প্রধানমন্ত্রী সহ বিজেপির শিবিরের সাংসদরা। সংসদের বাইরেও এই নিয়ে সরব হন বিজেপি নেতারা। কিন্তু রাহুলের এই মন্তব্যের সমর্থনে প্রথম পাতা ভরিয়ে দেয় মাত্রুভূম সংবাদপত্র। রাহুললে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে, তাঁর প্রশংসায় একাধিক নিবন্ধ ছাপা হয় সংবাদ পত্রে। শুধু তাই নয়, তির ধনুক হাতে দাঁড়িয়ে আছেন রাহুল এমন ছবিও প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয়। যেখানে তিরগুলি রাহুলের করা প্রতিটি মন্তব্যের ইঙ্গিত করছিল। মাত্রুভূমের এই আচরণ একেবারেই মেনে নিতে পারেননি মুরলীধরন। এই ধরনের খবর সাংবাদিকতার নীতির বিরুদ্ধে, এই দাবি করেন বিজেপি নেতা। একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, মাত্রুভূম পত্রিকা বয়কটের কথা। শুধু তাই নয়, রাহুলের বিরুদ্ধেও গর্জে ওঠেন তিনি। কোনওভাবেই কংগ্রেস সাংসদের মন্তব্য সমর্থন যোগ্য নয় বলে সাফ জানিয়ে দেন। আর সেই কাজে রাহুলকে সমর্থন জানানোর জন্য, মাত্রুভূমকেও চিরকালের মতো বয়কট করেন দক্ষিণের বিজেপি নেতা।