মায়ের গর্ভকে কি চাষের জমি বলে ভাবছেন? প্রশ্ন তুলে মুসলিম নেতা বদরুদ্দিন আজমলকে তুলোধোনা করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য হিন্দুদের মুসলিমদের মতোই কমবয়সি মেয়ে বিয়ে করা উচিত, ওই নেতার এহেন বিতর্কিত মন্তব্যের পালটা দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। ঠিক কী বলেছেন তিনি? শুনে নেওয়া যাক।
জনসংখ্যা বাড়াতে চাইলে মুসলিমদের পন্থা মেনে কমবয়সি মেয়েদের বিয়ে করুক হিন্দুরাও, সম্প্রতি এমন নিদান দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন এআইডিইউএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমল। এবার সেই মন্তব্যের পালটা দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি সাফ বলেছেন, কোনও মহিলার গর্ভকে কৃষিজমির মতো দেখা উচিত নয়, যাতে সেখানে যত ইচ্ছে ফসল উৎপাদন করা হবে। সব মিলিয়ে, এই ইস্যুতে দুই নেতার চাপানউতোরে বিতর্ক জোরালো হল আরও।
আরও শুনুন: ‘হিন্দুদেরও কমবয়সি মেয়ে বিয়ে করা উচিত’, জনসংখ্যা প্রসঙ্গে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য মুসলিম নেতার
শ্রদ্ধা-আফতাব কাণ্ডের পর ‘লাভ জিহাদ’ ইস্যুতে তোপ দেগেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। জোর করে হিন্দু মেয়েদের বিয়ে করে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ানোই লাভ জিহাদের উদ্দেশ্য, এমনটাই অভিযোগ হিন্দুত্ববাদীদের। আর সেই মন্তব্যের পালটা দিতে গিয়েই ওই বিতর্কিত কথা বলে বসেন অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট তথা এআইডিইউএফ-এর প্রধান বদরুদ্দিন আজমল। ওই মুসলিম নেতার সাফ কথা, উর্বর জমিতে কর্ষণ করলে তবেই তো ভাল ফসল মিলবে। মুসলিমদের মধ্যে কম বয়সেই বিয়ে করার প্রবণতা রয়েছে জানিয়ে তিনি নিদান দেন, জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য হিন্দুদেরও অল্পবয়সি মেয়েদের বিয়ে করা উচিত। এবার আজমলের লোকসভা কেন্দ্রের কাছাকাছি বঙ্গাইগাঁও-এর এক জনসভা থেকে ওই বিতর্কিত মতব্যের পালটা দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।
আরও শুনুন: ধর্মনিরপেক্ষ দেশে কোনও ধর্মগুরু ‘পরমাত্মা’ নন, অনুকূলচন্দ্রকে নিয়ে আবেদন খারিজ শীর্ষ আদালতের
পাশাপাশি মুসলিম সম্প্রদায়ের মহিলাদের ওই নেতার কথায় কান না দেওয়ার আরজি জানিয়েছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। বিজেপি নেতার সাফ কথা, তাঁকে ভোট দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু যারা ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে আমজনতাকে ব্যবহার করতে চাইছে, তাদের কথা শুনে জনসংখ্যা বাড়িয়ে চলা ভুল হবে। সন্তানদের সংখ্যা বাড়ানোর বদলে তাদের যথাযথ শিক্ষা দেওয়ার দিকেই মন দেওয়া উচিত, এমনটাই মত হিমন্ত বিশ্বশর্মার। তাই দুটি সন্তানের মধ্যেই পরিবারকে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি। মুসলিম নেতার বিতর্কিত মন্তব্যকে হাতিয়ার করে অসমের মুখ্যমন্ত্রী যে রাজনৈতিক লড়াইয়ে আরও জোর দিলেন, তা বলাই যায়।