তামিলনাড়ুর পর বাংলাতেও নিষিদ্ধ হয়েছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। বিভিন্ন মহলে এই নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক। এবার সেই ইস্যুতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর। ঠিক কী বলেছেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
জাতিগত ঘৃণা ছড়াচ্ছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। এই দাবিতে, বাংলায় ছবিটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে একেবারেই খুশি নয় বিজেপি নেতৃত্ব। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর কাঠগড়ায় তুলেছেন তৃণমূলকে। ছবি নিষিদ্ধকরণের মাধ্যমে এভাবে কি আইসিস-এর কার্যকলাপকেই সমর্থন করা হচ্ছে না! ঘুরিয়ে সে প্রশ্নই তুলে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
আরও শুনুন: নিখোঁজ গুজরাটের ৪০ হাজার নারী! ‘কেরালা স্টোরি’ বিতর্কের মাঝেই মোদি-শাহকে খোঁচা উদ্ধব-গোষ্ঠীর
‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ঘিরে রীতিমতো উত্তাল দেশের রাজনৈতিক মহল। একদিকে বিজেপির তরফে ছবিটির প্রশংসা করা হচ্ছে। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি ছবিটি সমর্থন যোগ্য নয়। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবিটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন বাংলায়। তাঁর সাফ দাবি, ছবিটিতে তথ্য বিকৃত করা হয়েছে। তাই জাতিগত হিংসা ছড়াতে পারে এই ছবি। শুধু বাংলা নয়। ছবিটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে তামিলনাড়ু সরকারও। সেই ইস্যুতেই এবার সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পদক্ষেপ একেবারেই সমর্থযোগ্য নয়। তাঁর প্রশ্ন, কেন এই ধরনের পদক্ষেপে আইসিস-এর মতো মৌলবাদী গোষ্ঠীর কাজকেই কি স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না! একই প্রশ্ন তিনি রেখেছেন কংগ্রেস এবং কমিউনিস্ট পার্টির কাছেও। তাঁর স্পষ্ট দাবি, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমাটি নিষিদ্ধ করা আদতে আইসিসের মতো মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠনকে সমর্থন করারই সমতুল্য।
আরও শুনুন: দেশ ছেড়ে পাকিস্তানের বাসিন্দা অনেকে! ‘এনিমি প্রপার্টি’ বিক্রি করে ৩৪০০ কোটি আয় সরকারের
তবে তিনি একা নন। বাংলায় সিনেমাটি নিষিদ্ধ হওয়ার পর সিনেমা জগতের কলাকুশলীরাও প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন। ছবির পরিচালক বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। এই ইস্যুতে যেন দুভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে সিনেজগতের ব্যক্তিত্বরা। বিজেপি সমর্থক কলাকুশলীরা যেমন ছবিটি নিয়ে যথেষ্ট প্রশংসা করছেন, শাসকদলের সমর্থকরা ঠিক তার উল্টো পথে হাঁটছেন। বিতর্কের মধ্যেই এই ইস্যুতেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অনুরাগ। তাঁর এই মন্তব্যের ফলে রাজনৈতিক তরজা যে আরও বাড়বে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।