জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে পড়ানো হচ্ছে পাকিস্তানি লেখকের লেখা বই। এমনই অভিযোগ তুলে সংসদে সরব হয়েছিলেন এক বিজেপি সাংসদ। যার প্রতিবাদে এবার সরব হলেন বিদ্বজ্জনরা। ঠিক কী অভিযোগ ছিল ওই সাংসদের? আসুন শুনে নিই।
পাকিস্তানি লেখকের বই পড়ানো হচ্ছে বিশেষ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। যে বইয়ের ভাষা আপত্তিজনক। সরকার কি এই ব্যাপারটা জানে? এ বিষয়ে কি কোনও পদক্ষেপ করবে? সরাসরি এই প্রশ্ন তুলেছিলেন উত্তর প্রদেশের বিজেপি সাংসদ হরনাথ সিং যাদব। সংসদে এই প্রশ্ন তুলে তিনি শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টিও আকর্ষণ করেন। যার প্রেক্ষিতে এবার সরব হলেন দেশের বিখ্যাত মানুষরা।
আরও শুনুন: ‘বাবরিই রামের জন্মভূমি আসলে মিথ্যে দাবি’! হিন্দুত্বের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানিয়ে গ্রেপ্তার অভিনেতা
সাংসদের দাবি, বইটি যেভাবে লেখা হয়েছে, তা দেশের জন্য অসম্মানজনক। এই ধরনের লেখা সরাসরি সন্ত্রাসকে সমর্থন করে বলেও বিস্ফোরক অভিযোগ ছিল তাঁর। সংসদে বিষয়টি তুলে তিনি শিক্ষামন্ত্রীর পদক্ষেপ দাবি করেন তিনি। তাঁর দাবি, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম খতিয়ে দেখা হোক। আর যাঁরা এই ধরনের বই পড়ানোর অনুমোদন দিয়েছেন, তাঁদের চিহ্নিত করা হোক। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর এই দাবিতে শোরগোল পড়ে গোটা দেশে। বিশেষত দেশের সারস্বত মহল বিষয়টিকে একেবারেই ভালভাবে নেননি। সাংসদের অভিযোগের জবাবে তাঁরা একটি বিবৃতি পেশ করেন। যেখানে স্বাক্ষর করেন অন্তত ২৫০ জন শিক্ষাবিদ। এঁদের মধ্যে আছেন রোমিলা থাপার, নন্দিতা নারাইন, আয়েশা কিদওয়ায়ি-র মতো বিশিষ্টরা। এই প্রশ্ন যেভাবে তোলা হয়েছে তার ঘোর নিন্দা করেছেন তাঁরা। তাঁদের মতে, যেভাবে নাম না করে পাকিস্তানি লেখকের বই নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তাতে সামগ্রিক ভাবে যে কোনও পাকিস্তানি লেখকের যে কোনও বইয়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে। যা একেবারেই কাম্য নয়। তার উপর, বেছে বেছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যেভাবে দেশবিরোধিতা ও সন্ত্রাসের যোগ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে, তাও কাম্য নয়। এই ধরনের উদ্দেশ্যমূলক সংযোগ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা রুখে দেওয়া উচিত বলেই মনে করছেন বিদ্বজ্জনরা। তাঁদের আশঙ্কা, এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি শুধু আমাদের বর্তমান জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে তাই-ই নয়, আমাদের শিশুদের ভবিষ্যতকেও অন্ধকার করে তুলছে।