সত্তর বছর বয়সে সন্তান প্রসব! অবাক হচ্ছেন! কী মনে হচ্ছে আজগুবি গল্প! আসলে এই পৃথিবীতে কখনও এমন ঘটনাই ঘটে যা সমস্ত চিন্তা-ভাবনাকে হার মানায়। অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলে। ঠিক সেরকমই একটি ঘটনা ঘটল গুজরাটে। সত্তর বছর বয়সে সন্তান প্রসব করে সকলকে বিস্মিত করলেন এক মহিলা।
তিনি জেদ ধরেছিলেন। বয়স যাই হোক না কেন, সন্তান ধারণ করবেনই। কিন্তু বয়সটা যে চোখ রাঙাচ্ছে। তা কত বয়স? সেভাবে লেখাজোকা নেই। তবে তিনি বলছেন, বয়স প্রায় সত্তর। এই বয়সে সন্তান ধারণ! এও কি সম্ভব! চিকিৎসকরা তো এ কথা শুনে যাকে বলে বিস্ময়ে একেবারে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি জেদ ধরেছেন। সন্তান তাঁর চাই-ই চাই। গুজরাটের জিবুবেন বলাভাই রাবড়ির মানসিক শক্তি আর ইচ্ছের জোরের সামনে হার মেনেছিল সবরকম প্রতিবন্ধকতা। অবশেষে মা হতে পেরেছেন তিনি।
আরও শুনুন: বিমান থেকে মানুষের মল এসে পড়ল মাথায়, নিজের বাগানেই নাস্তানাবুদ হলেন এক ব্যক্তি
ঘটনা গুজরাটের। মহিলার এই ইচ্ছা আর জেদ একরকম চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল সেখানকার চিকিৎসকদের। কিন্তু এই অসম্ভব তাঁরা সম্ভব করবেন কী করে! প্রথমে তাই তাঁরা মহিলাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। বলেন যে বয়সের কথা মাথায় রেখে এই ঝুঁকি এখন না নেওয়াই ভালো। নানারকম ভাবে বোঝানোর পরেও মহিলা নাছোড়বান্দা। মাতৃত্বের স্বাদ তিনি পেতে চান। আর এই সিদ্ধান্তে তিনি অনড়। এহেন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েই এবার পদ্ধতিগত কাজ শুরু করেন চিকিৎসকরা। প্রথমে ওষুধ দিয়ে মহিলার ঋতুচক্র স্বাভাবিক করা হয়। বয়সের কারণে কুঁচকে যাওয়া জরায়ু যাতে সন্তান ধারণের উপযোগী হয়ে ওঠে, সে ব্যবস্থাও করা হয়। এরপর আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে মহিলার সন্তানকে পৃথিবীতে আনার দিকে এগোন চিকিৎসকরা। সপ্তা দুয়েক পরে সোনোগ্রাফি করে তাঁরা দেখেন, কোথাও কোনও অস্বাভাবিকতা নেই। মহিলা স্বাভাবিক ভাবেই গর্ভবতী হয়েছেন। আরও কিছুদিন পর আগত সন্তানের হৃসস্পন্দনও পাওয়া যায়। এবার শুধু অপেক্ষার পালা।
আরও শুনুন: নোট বাতিল হয়েছে! জানতেনই না… পুরনো নোটে ৬৫ হাজার টাকা হাতে বিপর্যস্ত বৃদ্ধ
হয় না হয় না করেও আজও যে পৃথিবীতে মির্যাকল ঘটে, এবার যেন তাই-ই দেখা গেল। সফল হলেন চিকিৎসকরা। মহিলার প্রত্যাশাও শেষ পর্যন্ত পূর্ণতা পেল। অর্থাৎ মা হলেন তিনি। বয়সের কথা মাথায় রেখেই সি-সেকশন করেন ডাক্তারবাবুরা। পৃথিবীর আলো দেখে সদ্যোজাত। জানা যাচ্ছে, মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ আছে।
বাকি অংশ শুনে নিন।