কারও বাড়িতে রয়েছে ৮৪ কিলো সোনা। আবার কারও মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৫০ কোটিরও বেশি। আসন্ন কর্ণাটক নির্বাচনে, প্রার্থীদের সম্পত্তির বহর দেখে চক্ষু চড়কগাছ অনেকেরই। কাদের কথা বলছি? আসুন শুনে নিই।
আসন্ন কর্ণাটক নির্বাচনে সম্মুখ সমরে নামছে চার রাজনৈতিক দল। তবে এই চারটি দলের হয়ে যারা নির্বাচনে লড়বেন, তাঁদের সম্পত্তির বহর দেখে অবাক হবেন যে কেউ। প্রত্যেকেই কোটিপতি। সম্মিলিত ভাবে চার প্রার্থীর মোট সম্পত্তি প্রায় ৮০০ কোটি টাকার।
আরও শুনুন: শিক্ষায় বেড়া টানে না ধর্ম, যোগীরাজ্যে দ্বাদশ শ্রেণির সংস্কৃত পরীক্ষায় প্রথম মুসলিম পড়ুয়া
শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। কর্ণাটকের আসন্ন নির্বাচনে মূলত চারটি দল লড়বে। যার মধ্যে জাতীয় দল হিসেবে রয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস। সেইসঙ্গে রয়েছে কেআরপিপি ও জেডিএস নামে দুই আঞ্চলিক দল। এই চার প্রার্থীর মধ্যে একই পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন। তবে রাজনৈতিক ভেদাভেদ থাকলেও, তাঁদের মিল একটা জায়গাতেই- অগাধ সম্পত্তির মালিকানায়। এঁরা প্রত্যেকেই কোটিপতি। চারজনের মিলিত সম্পত্তি প্রায় ৮০০ কোটির। যার মধ্যে জেডিএস দলের প্রার্থী অনিল লাড ও তাঁর স্ত্রীর মিলিত সম্পত্তি ৩৮৭ কোটি টাকার। এরপর রয়েছেন কেআরপিপি দলের মুখ অরুণা লক্ষ্মী। স্বামীর সুবাদে যাঁর মোট সম্পত্তি ২৫০ কোটি টাকার। তাঁর স্বামী একসময় মন্ত্রীও ছিলেন। তিনিও একজন নামকরা ব্যবসায়ী।
আরও শুনুন: দুধ বিক্রি করেই রোজ আয় ১৭ লক্ষ, ছকভাঙা পথে তাক লাগালেন আইআইটি-র স্নাতক
এরপরই বলতে হয় বিজেপি প্রার্থী সোমশেখর রেড্ডির কথা। যিনি সম্পর্কে অরুণা লক্ষ্মীর দেওর। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণও ৬৬ কোটি টাকা। বলা বাহুল্য তাঁদের পরিবারই একসময় কর্ণাটকের রাজনৈতিক মহলের প্রধান স্তম্ভ ছিল। পরিবারের তিন সদস্য ছিলেন বিজেপি সমর্থক। সেইসঙ্গে অগাধ সম্পত্তির জোরে তাঁরা বরাবরই চর্চায় থাকতেন। রেড্ডি পরিবারের বাসভবনে সুইমিং পুল, সিনেমা হল থেকে আরম্ভ করে বিশালাকায় খাবার টেবিল সবই রয়েছে। বাইরে থেকে দেখলে যা কোনও রাজপ্রাসাদ অপেক্ষা কিছু কম নয়। এছাড়া এমন কোনও নামিদামি গাড়ি নেই যা তাঁদের গ্যারেজে নেই। তবে এই সব কিছু ছাপিয়ে যায় তাঁদের সংগ্রহে থাকা সোনার পরিমাণ। ১২০০টিরও বেশি সোনার আংটি, ৬০০টি সোনার ব্রেসলেট, হীরে বসানো কয়েকশো কানের দুল থেকে আরম্ভ করে অগুনতি সোনার হার রয়েছে তাঁদের কাছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় একটি সোনার তৈরি সিংহাসন। যার বাজার মূল্য ৩ কোটি টাকা। তবে কয়েকবছর আগে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়তে হয়েছিল তাঁর দাদা জনার্দন রেড্ডিকে। সেইসঙ্গে আরও অনেক অভিযোগই উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। যার জেরে মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা দিতে হয় তাঁকে। জেল থেকে ফিরে বিজেপি ত্যাগ করে কেআরপিপি-তে যোগ দেন তিনি। আসন্ন নির্বাচনে সেই দলের হয়েই লড়বেন তাঁর স্ত্রী অরুণা। তবে কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নারা ভারত-ও কম যান না। তাঁরও মোট সম্পত্তির পরিমান ৯০ কোটি। সব মিলিয়ে বলা যায় আসন্ন কর্ণাটক নির্বাচন যেন ধনকুবেরদের মুখোমুখি সংগ্রাম। শুধুমাত্র সম্পত্তির নিরিখে যারা এতটা চর্চায় থাকেন, নির্বাচনের পর তাঁরা কতটা চর্চায় থাকেন তা দেখা সময়ের অপেক্ষা।