আর জি কর ধর্ষণ-খুনে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয়। মেদিনীপুর মেডিক্যালে নতুন করে উত্তেজনার আবহ। বৈঠকের মাঝে বিক্ষোভকারীদের ঢোকার অভিযোগ। বাজেট অধিবেশনের দিনক্ষণ ঘোষণা কেন্দ্রের। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। সইফের উপর হামলার ঘটনায় নয়া মোড়। হাওড়াগামী জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস থেকে আটক সন্দেহভাজন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা ভারতের।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. আর জি কর ধর্ষণ-খুন মামলায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়। শনিবার শিয়ালদহ আদালতে বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাসে বহু প্রতীক্ষিত এই মামলার রায়দান হয়। জানা গিয়েছে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণের জন্য মৃত্যু), ১০৩(১) (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সঞ্জয়কে। আগামী সোমবার সাজা ঘোষণা। সেদিন সঞ্জয়কে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। এদিন রায় ঘোষণার আগে আদালত চত্বরে ভিড় জমান বহু সাধারণ নাগরিক। বাংলা পক্ষের সমর্থকরা সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। তবে আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন নির্যাতিতার পরিবারের ৫ সদস্য। সাধারণ কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মেয়ের নৃশংস হত্যার ১৬২ দিনের মাথায় সঞ্জয় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বিচারককে ধন্যবাদ জানান তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা। এদিকে, আদালতে দাঁড়িয়ে ফের নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সঞ্জয়। তার দাবি, “আমার কোনও দোষ নেই। সবাই মিলে করেছে।” যদিও অপরাধের বিবরণ শুনে সঞ্জয়কে উদ্দেশ্য করে বিচারক সাফ জানিয়ে দেন, “যেভাবে আপনি গলা চেপে ধরে খুন করেছেন তাতে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদন্ডে আপনি দণ্ডিত হতে পারেন।” এ বিষয়ে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের মন্তব্য, “আজকের রায় প্রমাণ করে দিল কলকাতা পুলিশের তদন্ত একেবারে সঠিক ছিল।” তাঁর দাবি, কিছু বাম, অতি বাম সংগঠন বিভ্রান্তি ছড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছিল। সেটা না হলে আরও আগে সুবিচার পেত অভয়া।
2. মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নতুন করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি। অভিযোগ, শনিবার জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন জোর করে সেখানে বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা ঢুকে পড়ে। তাঁরা মেডিক্যাল কলেজের সুপার, অধ্যক্ষদের ঘেরাও করেন। তবে মহিলা কমিশনের সদস্যদের ঘেরাওয়ের বাইরে রাখা হয়েছে বলে ঘোষণা করেন বিক্ষোভকারীরা। সবমিলিয়ে তীব্র উত্তেজনা। নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর সুপার ডাঃ ইন্দ্রনীল সেন বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি সামলানো যায়নি। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় কাঠগড়ায় তোলা হয় চিকিৎসকদের একাংশকে। ওইদিন অপারেশনে তাঁদের গাফিলতির অভিযোগে মোট ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়। তালিকায় ছিলেন জুনিয়র ও সিনিয়র ডাক্তাররা, হাসপাতালের সুপার এবং আরএমও-ও। এরই প্রতিবাদে শনিবার থেকে আংশিক কর্মবিরতিতে নামেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। আর সেদিনই নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল হাসপাতালে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।