মানুষ তাঁদের ক্ষমতা অনুযায়ী বিনিয়োগ করেন স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে। স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলির নামে স্বল্প হলেও কাজে কিন্তু একেবারেই ছোট নয়। সঞ্চয়ীদের এরকম বেশ কিছু স্কিম রয়েছে। কিন্তু এইসব বিষয়ে বিস্তারিত না জেনে, বিনিয়োগ করলে লাভের থেকে লোকসান বেশি। তাই বিনিয়োগের আগে কী কী বিষয়ে সতর্ক থাকবেন? শুনে নিন।
ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে যতগুলি প্রকল্প রয়েছে সবচেয়ে উপযোগী হিসেবে ধরা হয় ‘সিনিয়র সিটিজেনস সেভিংস স্কিম’-কে। সাধারণ ব্যাঙ্কে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সুদ দেওয়া হয় সর্বোচ্চ ছয় সাড়ে ছয় শতাংশ। সেখানে এই স্কিমের বাৎসরিক সুদের হার ৭.৪ শতাংশ। সেই সঙ্গে এই স্কিমে লগ্নি করলে আয়কর আইনের ‘আশি সি’ সেকশনে করছাড়ের সুবিধে মেলে। আমাদের দেশে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারি বহু অবসরপ্রাপ্ত কর্মী রয়েছেন, যাঁরা মূলত সংসার চালান, জীবন যাপন করেন, সঞ্চিত অর্থের সুদের ওপর নির্ভর করে। বহু মানুষ রয়েছে যাঁদের পেনশনের ব্যবস্থা নেই। অবসরের সময়ে তাঁদের কপালে জোটে এককালীন কিছু অর্থরাশি। সেই টাকাই ব্যাঙ্কে রেখে তা থেকে প্রাপ্ত অর্থে তাঁদের সংসার চলে। তাই এই জাতীয় স্কিমের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যে কোনও বিনিয়োগের আগে সেই স্কিমের সমস্ত নিয়ম এবং শর্তাবলি খুঁটিয়ে দেখে নেওয়া উচিত।
আরও শুনুন – হারানো SMART PHONE সুইচড অফ? খুঁজে পাবেন কোন উপায়ে?
তাই বিনিয়োগের আগে জেনে নিন এই জরুরি তথ্য,
‘সিনিয়র সিটিজেনস সেভিংস স্কিম’-এ চারটে কোয়ার্টার। অর্থাৎ সুদ হিসেব হবে বছরে চারবার।
সুদ দেওয়ার তারিখগুলো হয় যথাক্রমে, ৩১শে মার্চ, ৩০শে জুন, ৩০শে সেপ্টেম্বর এবং ৩১শে ডিসেম্বর।
সুদ ‘অটো ক্রেডিট’-এর মাধ্যমে, সরাসরি জমা পড়ে পোস্ট অফিসে চালু সেভিংস অ্যাকাউন্টে। তবে লগ্নিকারী যদি প্রতি কোয়ার্টারের সুদ যদি না নেন, তাহলে সেই সুদের ওপর কোনও নতুন সুদ বা অ্যাডিশানাল ইন্টারেস্ট দেওয়া হয় না।
আরও শুনুন – World Breastfeeding Week: সন্তানকে প্রকাশ্যে স্তন্যদান, ছবি পোস্ট করে TABOO ভাঙার ডাক অভিনেত্রীর
কোনও একজন ব্যাক্তির থাকতে পারে একাধিক ‘সিনিয়র সিটিজেন্স সেভিংস স্কিম’। কোনও একজন ব্যাক্তির সবকটি সিনিয়র সিটিজেন্স সেভিংস অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে পাওয়া সুদ যদি পঞ্চাশ হাজার টাকার বেশি হয়, তাহলে তাঁকে দিতে হবে আয়কর। সে ক্ষেত্রে মোট সুদের ওপর ধার্য হবে টিডিএস বা ট্যাক্স ডিডাকটেড অ্যাট সোর্স।
স্বল্প সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে রয়েছে আরও একাধিক স্কিম। সিনিয়র সিটিজেন্স স্কিম্ ছাড়াও রয়েছে, ‘মান্থলি ইনকাম স্কিম্’, ‘সুকন্যা সমৃদ্ধি অ্যাকাউন্ট’, ‘কিষাণ বিকাশ পত্র’। ‘মান্থলি ইনকাম স্কিম্’-এ টাকা জমা দিতে হবে মাসে মাসে। বছরে সুদ পাবেন, ৬.৬ শতাংশ। তবে এই ক্ষেত্রে এককভাবে সর্বোচ্চ জমা করা যাবে সাড়ে চার লক্ষ টাকা। ‘সুকন্যা সমৃদ্ধি অ্যাকাউন্ট’-এ সুদ পাবেন ৭.৪ শতাংশ। সুদ কষা হয় বছরে একবারই। তবে এ ক্ষেত্রেও সুদ করমুক্ত। কিষাণ বিকাশ পত্র স্কিম্-এ সুদের হার ৬.৯ শতাংশ। অন্য ব্যক্তিকে এই স্কিমের সঞ্চয় ট্রান্সফার করা যায় না। তবে শর্তাধীন পদ্ধতিতে কিছু ক্ষেত্রে বদল সম্ভব। একশ চব্বিশ মাস বা দশ বছর চার মাস পর, আপনার সঞ্চিত টাকা দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
বাকি অংশ শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।