প্রেম-সম্পর্ক সবই আছে থমকে। যত দ্রুত সম্ভব পথের কাঁটা সরিয়ে দিন। আরজি এক তরুণীর। আর যার তার কাছে নয়, খোদ রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রীকেই জানালেন সে কথা। তা তরুণীর প্রেমের পথে কী এই ‘পথের কাঁটা’? আসুন শুনে নিই।
প্রেম দিবসে উপলক্ষে প্রেমিক-প্রেমিকারা রোমান্টিক চিঠি লিখবেন, সে তো স্বাভাবিক কথা। যদিও আজকাল চিঠি লেখার চল প্রায় নেই। তবু একদমই যে প্রেমপত্র লেখা হয় না তেমনটাও নয়। কিন্তু প্রেম দিবস উপলক্ষে কোনও তরুণী খোদ রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখছেন, এমন ঘটনা শোনাই যায় না। অথচ এমনই এক চিঠি লেখা হল তেজস্বী যাদবের উদ্দেশে। লিখলেন পাটনার এক তরুণী।
আরও শুনুন: ধুমধাম করে অন্তঃসত্ত্বা গাভীর সাধভক্ষণের আয়োজন, আশীর্বাদ নিতে নামল মানুষের ঢল
চিঠিটি প্রেমপত্র নয়। তবে, প্রেম সংক্রান্ত। তরুণী তাঁর প্রেম-জীবনের কথা চিঠিতে জানিয়ে বলেছেন, সবই আছে, তবু যেন কিছুই নেই। শাহরুখ খান যতই বলুন একতরফা প্রেমের ক্ষমতাই আলাদা, দেখা যাচ্ছে, এই তরুণী সেই একতরফা প্রেম নিয়ে বেশ বিব্রত। তাঁর প্রেমিকের নাম জানিয়ে চিঠিতে তিনি লিখেছেন, বছর আসে, বছর যায়। আর তিনি অপেক্ষা করে থাকেন এই ভেবে যে, চাকরি পেলেই তিনি মনের মানুষকে প্রপোজ করবেন। কিন্তু সে চাকরি আর কিছুতেই পান না। অতএব আরও একটা ভ্যালেনটান্স ডে চলে যাবে, আর তিনি ওই কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স পড়েই কাটিয়ে দেবেন। আর তাঁর বাবা বিয়ের জন্য উঠেপড়ে লাগবেন। মোদ্দা কথা হল, চাকরি না পাওয়ার দরুন এই প্রেম দিবসেও তিনি যেমন সিঙ্গল ছিলেন, তেমনই সিঙ্গল থাকবেন। অতএব উপ-মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁর আরজি, একটা চাকরির বন্দোবস্ত যেন তিনি করে দেন। তেজস্বী নিজে যেহেতু প্রেম করেই বিয়ে করেছেন, প্রেমের মর্ম যে তিনি বুঝবেন, এই তাঁর বিশ্বাস। তাঁর এই চিঠি এখন ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। প্রেম দিবসের আড়ালে রাজ্যের বেকারত্বের ছবিটাই একেবারে হাটখোলা করে দিয়েছে এ চিঠি।
আরও শুনুন: প্রেমের সপ্তাহে বিপদ ডাকল প্রেমই! বাইকে উদ্দাম আদর যুগলের, মামলা দায়ের রাজস্থানে
পাটনার এই তরুণী হয়তো জানেন না যে, বাংলায় জনপ্রিয় একটা গান আছে ‘প্রধানমন্ত্রী প্লিজ, আমাকে একটা মেয়ে দেখে দিন…’। অনেকটা সেই ধাঁচেই এই তরুণী যে রাজনৈতিক মহল্লায় হইচই ফেলে দেবেন, তা কে জানত! তবে এই তরুণী সত্যিই আছেন কি-না তা নিয়ে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এই তরুণী অর্থাৎ পিঙ্কি, তাঁর যে প্রেমিকের নাম লিখেছেন চিঠিতে, দেখা যাচ্ছে তিনি চিত্রনাট্য-সংলাপ রচনার জন্য পরিচিত এক ব্যক্তি। ভাইরাল চিঠি দেখে টুইটারে তিনি লিখেছেন, তেজস্বী যাদবের সঙ্গে দেখা হলে, নিশ্চয়ই তিনি এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। তবে তরুণী বাস্তবে থাকুন আর নাই-ই থাকুন, এই চিঠি যে বিহারের বেকারত্বের আবহকেই বেজায় ঠাট্টা করেছে, তাই-ই বলছেন নেটদুনিয়ার বাসিন্দারা।