একা সইফ নন, বিপদের মুখে রয়েছেন আরও অনেক মুসলিম তারকা। তালিকায়, শাহ্রুখ-সলমনের নাম উপরের দিকেই রয়েছে। সইফের উপর হামলার পর থেকেই এমন আশঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে। এমন এই প্রসঙ্গে মুখ খুলল করনি সেনা। ঠিক কী দাবি তাদের? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
নিজের বাসভবনে আক্রান্ত সইফ আলি খান! এই মুহূর্তে বলিউডের সবথেকে চর্চিত বিষয় এটিই। এখনও অধরা আততায়ী। জোরকদমে চলছে তদন্ত, খোঁজ। তবে সইফ অনেকটাই সুস্থ। এই আবহে সইফের উপর হামলার সঙ্গে সলমনের নাম জুড়ল করনি সেনা। হিন্দু সংগঠনের দাবি, সইফ এবং সলমনের উপর হামলার যথেষ্ট যোগ রয়েছে।
আরও শুনুন:
আক্রান্ত সইফ, ‘হিন্দু মহাসভার উত্থানেই বিপদে মুসলিম অভিনেতারা’, উঠল বিস্ফোরক দাবি
বলিউড অভিনেতাদের উপর হামলার ঘটনা এই নতুন নয়। তবে নিজের বাসভবনে যেভাবে আক্রান্ত হয়েছেন সইফ, তাতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে অনেকের কপালে। বিশেষ করে বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতাদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, সইফের আগে শাহরুখ খানের বাড়িতে রেইকি করেছিল আততায়ীর দল। একইভাবে সলমন খানের উপরও হামলার হুমকি শোনা গিয়েছিল। অভিনেতা না হলেও বলিউডের চেনা মুখ হিসেবে পরিচিত বাবা সিদ্দিকিকে খুনই করা হয়। সেই নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। রাতারাতি নিজেদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেন সলমনের মতো অভিনেতারা। তা সত্ত্বেও সইফের উপর হামলা হল। এবং তা এতটাই ভয়ঙ্করভাবে, যে গুরুতর অস্ত্রোপচারের মধ্যে দিয়ে যেতে হল অভিনেতাকে। কেন এই হামলা, সঠিক উত্তর মেলেনি। সিসিটিভি ফুটেজে স্রেফ ধরা পড়েছে আততায়ীর চেহারা। তবে করনি সেনার দাবি, বলিউডের মুসলিম অভিনেতারা আক্রান্ত হচ্ছেন সিনেমা নির্মাতাদের কারণেই। সংগঠনের দাবি, ইচ্ছা করে হিন্দু অভিনেতাদের কাজ দিতে চান না এই নির্মাতারা। আর তাই মুসলিম অভিনেতাদের উপর হামলা হচ্ছে। যদিও সরাসরি কে বা কারা এই হামলার জন্য দায়ী, তা বলেনি করনি সেনা। তাদের অনুমান, এর নেপথ্যে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। এর আগে সলমনের উপর যে হামলা হয়েছিল, তার সঙ্গে সইফের উপর হামলার স্পষ্ট যোগ রয়েছে বলেই তাদের দাবি।
এর আগে পাকিস্তানের এক প্রাক্তন মন্ত্রী দাবি করেছেন, সইফের উপর হামলার জন্য দায়ী হিন্দু মহাসভার উত্থান। শুধু সইফ নন, বলিউডের মুসলিম অভিনেতারা যে সুরক্ষিত নন, সেই আশঙ্কার কথাই তিনি বলেছেন। এ বিষয়ে পাকিস্তান সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে টুইট করেন তিনি। তাতে অনেকেই করনি সেনার প্রসঙ্গ টানে। এবার সরাসরি ওই হিন্দু সংগঠনের তরফেই বিষয়টা নিয়ে মন্তব্য করা হল। তারাও আশঙ্কা করছে বলিউডের অন্যান্য মুসলিম অভিনেতাদের বিপদ হতে পারে। একইভাবে হয়তো হামলার শিকার হতে পারেন অন্য কেউ। সবমিলিয়ে বিষয়টা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে বিনোদুনিয়ায়।