অঞ্জলি-সিঁদুর খেলায় অংশ নিতে লাগবে টিকার জোড়া ডোজ। ভবানীপুরে ঐতিহাসিক জয়ের পর বিধায়ক পদে শপথ নিলেন মমতা। ২ বছর পর তৃণমূলে ফিরলেন সব্যসাচী দত্ত। মন্দিরে পুজো দিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 6 অক্টোবর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- পুজোর তিনদিন মাঝরাত পর্যন্ত চলবে মেট্রো, বদল শুরুর সময়ে
আরও শুনুন: 5 অক্টোবর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- মণ্ডপ হতে হবে খোলামেলা, পুজোয় ১১ দফা নির্দেশিকা নবান্নের
বিস্তারিত খবর:
1. দুর্গাপুজোর আনন্দ উদযাপন শুরু হয়ে গিয়েছে শহর কলকাতায়। মহালয়ার দিনই বেশ কয়েকটি নামী পুজোর উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। যদিও এবছর মণ্ডপে দর্শক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। তা সত্ত্বেও আনন্দে মেতে উঠতে তো বাধা নেই। তবে বঙ্গবাসী ভরপুর পুজোর আমেজে ডুবে যাওয়ার আগেই ফের আরেকদফা নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা হাই কোর্ট। তাতে বলা হয়েছে, অঞ্জলি, সিঁদুরখেলার মতো দুর্গাপুজোর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত রীতি অবশ্যই পালন করা যাবে। তবে তার জন্য করোনা টিকার জোড়া ডোজ থাকা বাধ্যতামূলক। আর তা পুরোপুরি নজরদারির দায়িত্ব পুজো কমিটির। এই বিধি ভঙ্গ করলে পুজো বাতিল করে দিতে পারবে পুলিশ।
গত বছর করোনা আবহে বহু পুজো কমিটি অনলাইনে অঞ্জলির ব্যবস্থা করেছিলেন। এবারও কলকাতা বেশ কিছু পুজোয় এভাবেই অঞ্জলি হবে। তবে চলতি বছরে বিকল্প ব্যবস্থাও থাকছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, তাতে বলা হয়েছে, মণ্ডপে গিয়ে অঞ্জলি দেওয়া, সিঁদুরখেলা যেতেই পারে। তবে অংশগ্রহণকারীদের করোনা টিকার ডবল ডোজ থাকতে হবে। আর তা পরীক্ষা করে তবেই এসব রীতিতে অংশ নিতে অনুমতি দেবে সংশ্লিষ্ট পুজো কর্তৃপক্ষ। সামগ্রিকভাবে নজরদারির দায়িত্ব পুলিশের। নিয়ম ভাঙা হলে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে সেই পুজো বাতিল করে দিতে পারে। হিসেবমতো, ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমী। ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ – এই চারদিন বিসর্জনের জন্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
2. ভবানীপুরে ঐতিহাসিক জয়ের পর বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে দু’টো নাগাদ বিধানসভায় পৌঁছন তিনি। নজিরবিহীনভাবে বিধানসভায় গিয়ে তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেখানে ছিলেন সুব্রত বক্সি, মুকুল রায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরা। তবে এদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন না বিরোধী বিধায়করা।
মুখ্যমন্ত্রী-সহ মন্ত্রিসভার সদস্যদের রাজভবনে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল। আর বিধায়কদের বিধানসভায় শপথ বাক্য পাঠ করাবেন বিধানসভার অধ্যক্ষ, এটাই প্রচলিত রীতি। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বিধানসভার সচিবালয়কে চিঠি দিয়ে জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হয়ে এলে তিনি নিজেই তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। সেই মতোই বৃহস্পতিবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে বিধায়ক হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল। বাকি দুই বিধায়ক অর্থাৎ আমিরুল ইসলাম ও জাকির হোসেনকেও শপথবাক্য পাঠ করান তিনি। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই স্পিকারের ঘরে যান ধনকড়। এদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সাংসদদের। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিরোধী শিবিরের কারও দেখা পাওয়া যায়নি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।