ত্রিপুরায় বিক্ষোভের মুখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ হলেন জহর সরকার। বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই সংসদে বিল পাশ। অলিম্পিকে প্রথমবার শেষ চারে ভারতের মহিলা হকি দল। শুনে নিন আজকের বিশেষ বিশেষ খবর।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 1 আগস্ট 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- টোকিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতে ইতিহাস গড়লেন সিন্ধু, হকিতে শেষ চারে ভারত
আরও শুনুন: 31 জুলাই 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- BJP ছাড়লেন Babul Supriyo, জিইয়ে রাখলেন অন্য দলে যোগের জল্পনা
বিস্তারিত খবর:
1. ত্রিপুরায় গিয়েই হামলার মুখে পড়লেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বভারতীয় রাজনীতিতে শক্তি বাড়াতে ‘মিশন ত্রিপুরা’ এখন তৃণমূল কংগ্রেসের পাখির চোখ। সোমবার ত্রিপুরায় পৌঁছন অভিষেক। ঠিক ছিল ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়েই বাকি কর্মসূচি সারবেন। কিন্তু তার আগেই শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ, যাত্রাপথে দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়ে অভিষেকের কনভয়। একাধিক জায়গায় পথ আটকানো হয়। লাঠি দিয়ে গাড়িতে মারা হয়। এমনকী বিশ্রামগঞ্জে ভেঙে দেওয়া হয় গাড়ির কাচ। ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। এই ঘটনার ভিডিও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে ট্যাগ করে টুইটও করে অভিষেক লেখেন,‘অতিথি দেব ভব’র উদাহরণ দেখলাম, ত্রিপুরার মানুষই এর বিচার করবেন।”
সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম ভিনরাজ্য সফর। কিন্তু সেখানেই দফায়-দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। তৃণমূল নেতৃত্ব এ রাজ্যে আসার আগেই আই প্যাকের সদস্যদেরও গৃহবন্দি করে রাখার অভিযোগ উঠেছিল। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, “আগামী দেড় বছরের মধ্যে ত্রিপুরায় উন্নয়নের সরকার গড়বে তৃণমূল। ধমকে চমকে লাভ হবে না। এসব তৃণমূলকে আরও তাতাবে।” আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ত্রিপুরায় তৃণমূলের রাজ্য সংগঠন তৈরি হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন অভিষেক।
একুশের বঙ্গভোটে বিপুল জয়ের পরই জাতীয় রাজনীতিতে দলের গুরুত্ব বাড়াতে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল। সেই লক্ষ্যপূরণে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন অভিষেক। দায়িত্ব পালন করতে ত্রিপুরায় এসেই সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেন তিনি। তাঁর কথায়, “দিল্লি, গুজরাট থেকে এখানকার সরকার চলছে। এখানকার মানুষ কী চায়, তা তাঁরা বোঝেন না। তাই তৃণমূলকে দেখে ভয় পাচ্ছে।” এর পরই তাঁর সাফ বার্তা, “ত্রিপুরায় দুয়ারে গুণ্ডা নয়, দুয়ারে সরকার পৌঁছে যাবে।”
2. বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলা থেকে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হলেন জহর সরকার। সোমবারই ছিল রাজ্যসভা নির্বাচনে মনোনয়ন জমা করার শেষদিন। কিন্তু বিজেপির তরফে কোনও মনোনয়নপত্র পেশ করা হয়নি। ফলে এ রাজ্য থেকে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হলেন প্রাক্তন IAS অফিসার জহর সরকার।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন দীনেশ ত্রিবেদী। রাজ্যসভার সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দেন তিনি। তাঁর ছেড়ে যাওয়া আসনে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ধার্য হয় আগামী ৯ আগস্ট। মনে করা হচ্ছিল, এই আসনে মুকুল রায় বা যশবন্ত সিনহার মতো কোনও পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদকে প্রার্থী করবেন মমতা। তবে, সবাইকে চমকে দিয়েই প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইওকে মনোনয়ন দেয় তৃণমূল।
রাজ্য বিধানসভায় তৃণমূলের যা শক্তি, তাতে জহর সরকারের নির্বাচিত হওয়া নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না। সেই অঙ্কের কথা মাথায় রেখেই বিজেপি কোনও প্রার্থী দেয়নি। প্রত্যাশা মতোই এই বাঙালি IAS এবার রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হলেন।
বাকি অংশ শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।