বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ মুকেশ আম্বানি। বিধানসভা ভোটে সরগরম রাজধানী। দিল্লিতে ভোটের দিনই মহাকুম্ভে পুণ্যস্নান মোদির। পালটে গেল ফোর্ট উইলিয়ামের নাম। আমেরিকা থেকে দেশে ফিরলেন ‘বিতাড়িত’ ভারতীয়রা।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. মহা সমারোহে অনুষ্ঠিত হল অষ্টম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে উপস্থিত ছিলেন রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানি। এদিন মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করতে শোনা গেল তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রীকে ‘মমতা দিদি’ সম্বোধন করে তিনি বললেন,”মমতা সরকারের আমলে অর্থনীতি ও বাণিজ্যে নবজাগরণ দেখছে বাংলা।” পাশাপাশি রাজ্যে রিলায়েন্সের বিনিয়োগের খতিয়ানও তুলে ধরেন মুকেশ। শীঘ্রই রিলায়েন্সের এআই রেডি ডেটা সেন্টার তৈরি হবে বাংলায়। দিঘায় হবে কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন। যার দরুন ডিজিটাল উন্নয়নে বাংলাই পূর্ব ভারতকে নেতৃত্ব দেবে বলেই মন্তব্য করলেন মুকেশ। এদিকে, বাণিজ্য সম্মেলন থেকে একের পর এক বড় ঘোষণা করে শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে। জানালেন, বীরভূমের দেউচা পাচামির কয়লা খনিতে চাইলে কাল থেকেই কাজ শুরু করা যেতে পারে। মমতা জানান, এই কয়লা খনি থেকে উত্তোলন শুরু হলে আগামী কয়েক শো বছর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। শক্তি উৎপাদনে ঘাটতি হবে না। তাঁর ঘোষণা, কয়েক লক্ষ মানুষের চাকরি হবে। অনুসারী শিল্প তৈরি হবে। সেখান থেকে আরও লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। জমিদাতাদের পরিবারের সকলে চাকরি পাবে, এমনটাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে এদিন মঞ্চ থেকেই মমতা জানালেন, আগামী ২৯ এপ্রিল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন। রাজ্য-দেশের গণ্ডি পেরিয়ে গোটা বিশ্বের মানুষকে দিঘার মন্দিরে আসার আমন্ত্রণও জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
2. হাইভোল্টেজ প্রচার শেষে বুধবার সম্পন্ন হল দিল্লির ভোট।বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া বুধবার দিল্লির বেশিরভাগ কেন্দ্রেই শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণ পর্ব। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সকাল থেকেই ভিভিআইপিদের ভিড় দেখা গিয়েছে ভোটকেন্দ্রগুলিতে। ভোট দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, দিল্লির পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় আরোরা, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার, প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, মুখ্যমন্ত্রী অতিশী। এছাড়াও সপরিবারে ভোট দিয়েছেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। নির্বাচনের দিনেই অভিযোগ পালটা অভিযোগে সরগরম হয়ে ওঠে দিল্লি। আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে ভুয়ো ভোটার ব্যবহার করে কারচুপির অভিযোগ তোলে বিজেপি। পালটা ভোটারদের প্রভাবিত করতে বিজেপি টাকা বিলোচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল আপের। ভোটগ্রহণ চলাকালীন এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সিলামপুর-সহ একাধিক বিধানসভা কেন্দ্র। এদিকে, ভোট শেষ হতেই প্রকাশ্যে এক্সিট পোলের হিসাব। জানা যাচ্ছে, আগের দুবার অনায়াসে বিপুল সংখ্যক আসনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসা আপ এবার ব্য়াকফুটে। সব এক্সিট পোলই কিন্তু বিজেপির পক্ষেই কথা বলছে। যদিও বুথফেরত সমীক্ষার হিসেব মানতে রাজি নন আপ নেতারা। দাবি, এক্সিট পোল যাই বলুক না কেন, শেষ হাসি কিন্তু হাসবেন কেজরিওয়ালই।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।