তৃণমূলের ‘পাহারাদার’ তিনি নিজেই। কেশপুরের সভা থেকে দাবি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আবাস যোজনা প্রত্যাখ্যান করা ত্রয়ীকে আশ্বাস অভিষেকের। ‘কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা খরচই করতে পারেনি রাজ্য।’ কলকাতা সফরে এসে দাবি স্মৃতি ইরানির। মন্ত্রীর অভিযোগ উড়িয়ে পালটা দিলেন কুণাল ঘোষ। বকেয়া ডিএ ইস্যুতে ধরনার মাঝেই দাবি কুণাল ঘোষের। ফের বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রনেতা হলেন নরেন্দ্র মোদি। আর্থিক বিপর্যয়ের জেরে ধুঁকছে পাকিস্তান।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 2 ফেব্রুয়ারি 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- আদানি ইস্যুতে খোঁচা, বাজেট নিয়েও কেন্দ্রকে ফের তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
বিস্তারিত খবর:
1. দলীয় কোন্দল বরদাস্ত নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কড়া বার্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শনিবার কেশপুরের সভা থেকে নিজেকে তৃণমূলের ‘পাহারাদার’ হিসেবে তুলে ধরলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কথায়, “অদৃশ্য চোখ সবার উপর ঘুরে বেড়াচ্ছে, সবাইকে সচেতন করে দিয়ে যাচ্ছি। পাহারাদারির দায়িত্বে আমি।”
দলের অন্দরের খবর, নেতাদের ব্যক্তিগত রেষারেষির জেরে ক্ষতি হচ্ছে তৃণমূলের সংগঠনের। যদিও মঞ্চ থেকে অভিষেকের দাবি, দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। তবে ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য দলকে ব্যবহার করা যাবে না বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। নেতাকর্মীদের পারস্পরিক রেষারেষির জেরে দল দুর্বল হলে কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না, হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক। এদিনের সভা থেকে অভিষেক ফের মনে করিয়ে দিলেন, “যারা ৫ বছর ঢেলে মানুষের জন্য কাজ করবে, তারাই পঞ্চায়েতের প্রার্থী হবে। মানুষ সার্টিফিকেট দিলে তবেই মিলবে টিকিট। যারা তা করবে না, তাদের জন্য ব্যবস্থা নেবে দল।” দলবদলের প্রবণতা বিষয়েও এদিন মুখ খুলেছেন অভিষেক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করবেন জানানোর পাশাপাশি তিনিও দলীয় কর্মীদের দিকে নজর রাখছেন বলে এদিন হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
2. পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে জনসংযোগে জোর দিচ্ছে ঘাসফুল শিবির। কেশপুরে জনসভা করতে যাওয়ার পথে ফের মাঝপথে নেমে গ্রাম পরিদর্শন করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনলেন। গ্রামবাসীদের সামনেই সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে ফোন করে জমির পাট্টা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন অভিষেক। এরপর কেশপুরের আনন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জনসভায় পৌঁছন তিনি। সভামঞ্চ থেকে কেশপুরের রাজনৈতিক পরিবেশ ব্যাখ্যা করে লড়াকুদের শ্রদ্ধা জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের নামে। জনতাকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে সেই অভিযোগের জবাব দিতে বদ্ধপরিকর রাজ্যের শাসকদল। এদিন কেশপুরের জনসভা থেকে সেই কাজটাই যেন শুরু করে দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এদিন মঞ্চে শেখ হোসিমুদ্দিন, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মঞ্জু দলবেরা ও তাঁর স্বামী তথা তৃণমূলের বুথ সভাপতি অভিজিৎ দলবেরাকে তলব করেন অভিষেক। প্রকাশ্য জনসভায় তাঁদের বাড়ির ছবি দেখিয়ে জানান, এঁরা কেউই আবাস যোজনার ঘর নেননি। নিজে হোসিমুদ্দিনের মেয়ের বিয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি দল তাঁদের ঘর বানিয়ে দেবে বলেও এদিন ঘোষণা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।