মহাকুম্ভে বিপর্যয়। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু ৩০ জনের, আহত অন্তত ৬০। পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় শোকবার্তা মমতার। আটকে বাংলার বাসিন্দারাও। প্রয়াগরাজে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে উদ্বিগ্ন বাংলা। রাজ্যে গ্রেপ্তার ট্যাব দুর্নীতির ‘মাস্টারমাইন্ড’। আর জি করে নির্যাতিতার পরিবারের আবেদন শুনল সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশ নতুন করে আবেদন জানানোর।
হেডলাইন:
১/ মহাকুম্ভে বড়সড় দুর্ঘটনা। মৌনী অমাবস্যার ‘অমৃতস্নান’ উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষের হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল অন্তত দশজনের। জানা গিয়েছে, রাত ২টো নাগাদ সঙ্গমে স্নানের উদ্দেশে জড়ো হন পুণ্যার্থীরা। ১০ হাজারের বেশি মানুষ একসঙ্গে স্নান করতে ভিড় জমান। তখনই ১১ থেকে ১৭ নম্বর খুঁটির মাঝে ভিড়ের চাপে ব্যারিকেড ভেঙে যায়। যার জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। এদিন সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ জানায়, পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মোট ৩০ জনের। আহত হয়েছেন ৬০ জন। একাধিক হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। পুলিশ আধিকারক বৈভব কৃষ্ণ জানিয়েছেন, মৃত ৩০ জনের মধ্যে ২৫ জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের ভূমিকা কী ছিল, দুর্ঘটনার পর তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ফোন করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। এই দুর্ঘটনাকে অত্যন্ত ‘দুঃখজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রশাসনের তরফে পুণ্যার্থীদের সমস্তরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেই বার্তা দেন তিনি।
২/ মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুণ্যার্থীদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গঙ্গাসাগর মেলা থেকে আমি শিখেছি যে বিশাল জনসমাবেশে যেখানে অসংখ্য পুণ্যার্থীদের জীবন জড়িত থাকে, সেখানে পরিকল্পনা এবং পরিষেবা সর্বোচ্চ পর্যায়ের হতেই হবে।’ এদিকে, দুর্ঘটনার জেরে বাংলার অনেক বাসিন্দা আটকে পড়েছেন বলেই খবর। এই ব্যাপারে উদ্বিগ্ন রাজ্য প্রশাসন। কারা আটকে পড়েছেন, সে সংক্রান্ত তথ্য জানতে দিল্লির রেসিডেন্ট কমিশন অফিস মারফত উত্তরপ্রদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। আটকে পড়া বাঙালিদের উদ্ধারের জন্য দিল্লির রেসিডেন্ট কমিশনের অফিস থেকে প্রয়াগরাজে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।