বিধানসভা অধিবেশন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সুপারিশ ফেরত পাঠালেন ধনকড়। খসড়া পিপিপি মডেল নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী। দিল্লিতে হবে তৃণমূলের পরবর্তী কর্মসমিতির বৈঠক। ১০০টি কিষাণ ড্রোনের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর। সুস্থতার পথে দেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ শতাংশ কমল সংক্রমণের হার। গরুপাচার কাণ্ডে ধৃত এনামূল হক। ভারতের পরবর্তী টেস্ট অধিনায়ক হচ্ছেন রোহিত শর্মাই।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 17 ফেব্রুয়ারি 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- আলোচনায় বসতে ডাক রাজভবনে, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি রাজ্যপালের
বিস্তারিত খবর:
1. বিধানসভা অধিবেশন শুরু নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা। আবারও সংঘাতে রাজ্য ও রাজ্যপাল। আগামী ৭ মার্চ থেকে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা শুরু ছিল। কিন্তু এদিন অধিবেশন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুপারিশ ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। টুইট করে তিনি জানান, সাংবিধানিক নিয়ম মেনে সুপারিশ পাঠানো হয়নি। তাই তা ফেরত পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন রাজ্যপাল। ফলে বিষয়টি নিয়ে আরও জটিলতা বাড়ল।
প্রথমে শোনা গিয়েছিল, ২ মার্চ থেকে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন শুরু হবে। ৪ মার্চ বাজেট পেশের সম্ভাবনা। কিন্তু পরে সেই দিনক্ষণ বদলে যায়। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দেন, ৭ মার্চ থেকে শুরু হতে পারে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। তবে বাজেট পেশ কবে, সে বিষয়ে কোনও ইঙ্গিত ছিল না। ৭ তারিখ সেই অধিবেশন শুরু হওয়ার সুপারিশ জানিয়ে রাজভবনে চিঠি পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই সুপারিশ ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। টুইটারে তিনি জানান, রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন ছাড়া ওই সুপারিশ পাঠানো যায় না। সাংবিধানিক নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই তিনি তা ফেরত পাঠিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যপালকেই এবার বিধানসভা অধিবেশনের ডাক দিতে হবে। কিন্তু তা হওয়ায় ৭ তারিখ থেকে বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়া অনিশ্চিত হয়ে গেল।
2. খসড়া পিপিপি মডেলের স্কুল নিয়ে উত্তাল রাজ্য। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন বিরোধীরা। শুক্রবারও হাজরা মোড়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই। উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়াও। কিন্তু শনিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি করলেন, এ বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও খবর নেই। এখনও শিক্ষা দপ্তরে এসব নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বসু বলেন, “পিপিপি মডেল নিয়ে আমাদের দপ্তরে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা হয়নি। এটি ভুয়ো কিনা তা এখনই বলা যাবে না। তবে ভারচুয়াল মাধ্যমে অনেক সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়। যদি তা হয় পুলিশে এফআইআর করার কথা ভেবে দেখতে হবে।”
রাজ্যে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেলে স্কুল চালানো বিষয়ে একটি খসড়া প্রকাশ্যে এসেছে। খসড়ার শেষে স্কুলশিক্ষা সচিবের নাম আছে। দ্বিতীয় একটি নির্দেশিকাও প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে নামের পাশাপাশি স্কুলশিক্ষা সচিবের স্বাক্ষর রয়েছে। যার বক্তব্য, নতুন ধাঁচের স্কুলগুলির জমি ও পরিকাঠামো সরকারের। প্রশাসনিক দেখভালের দায়িত্বে থাকবে বেসরকারি সংস্থা। কোন মাধ্যমে স্কুল চলবে তা ঠিক করবে তারাই। বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে এদিন রাস্তায় নামে এসএফআই। শিক্ষক সংগঠনগুলিও পিপিপি মডেলের প্রতিবাদ করেছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।