মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাজেট পেশ অর্থমন্ত্রীর। বরাদ্দ বাড়ল বাংলার বাড়ি প্রকল্পে। বাজেট পেশের পর কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় বাজেটে শুধুই প্রতিশ্রুতি, কটাক্ষ মমতার। আর জি কর দুর্নীতি মামলায় এবার চার্জশিট পেশের তোড়জোড়। সন্দীপের আইনজীবীকে নথি দিল CBI। শীর্ষ আদালতে ধাক্কা অঙ্কিতা অধিকারীর। শিক্ষকতার চাকরি-ফেরত মামলা খারিজ সুপ্রিম কোর্টে। ভোটের আগে খয়রাতিতে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃতীয় তৃণমূল সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হল বুধবার। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। তার আগে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠক সারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে গরহাজির ছিলেন বিজেপি বিধায়করা। যা দেখে উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারের বাজেটে পথশ্রী প্রকল্পে বরাদ্দ হল আরও দেড় হাজার কোটি টাকা। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য ৫০০ কোটি বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। আগামী দু’বছরের মধ্যে কার্যকর হবে ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’। নদী ভাঙন রুখতে রাজ্য সরকারের নয়া প্রকল্প ‘নদীবন্ধন’, এই খাতে বরাদ্দ হল ২০০ কোটি। পাশাপাশি, ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব বাজেটে। পয়লা এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে নয়া বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা। এর ফলে মোট ১৮ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। বাংলার বাড়ি প্রকল্পে আরও ৯ হাজার ৬০০ কোটি বরাদ্দ বাড়াল রাজ্য সরকার। আগামী আর্থিক বছরে তৈরি করা হবে আরও ১৬ লক্ষ বাড়ি। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের জন্য ৭০ হাজার স্মার্ট ফোন দেওয়ার ক্ষেত্রে বরাদ্দ ২০০ কোটি টাকা। ৪.৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ গঙ্গাসাগর সেতুর জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে রাজ্য বাজেটে। আরও একব ছর চা শিল্পে করছাড়ের ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। কর্মসংস্থান, পরিকাঠামো উন্নয়ন থেকে শুরু করে সরাসরি আমজনতাকে সুবিধাভোগীর তালিকায় আনা, এবারের রাজ্য বাজেটের মূল নজর এই দিকগুলোতেই।
2. বাজেট পেশের পর কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় বাজেটে শুধু প্রতিশ্রুতি থাকে। আমরা নিজস্ব রাজস্ব থেকে বাজেটে বরাদ্দ করি। বাজেটে যা বলি, তাই করি।” সেই সঙ্গে তাঁর ব্যাখ্যা, “অন্য রাজ্যের থেকে আমাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আলাদা। ওঁদের অনেক শর্ত থাকে।” বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে রাজ্যে ১৩ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে বলেও এদিন জানান তিনি। কর্মসংস্থানই যে রাজ্যের মিশন, বাজেট যে তারই ভিশন সে কথা স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি অনলাইনে ভোটার তালিকায় নাম তোলা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানালেন মমতা। তাঁর দাবি, “অন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের নাম ঢুকিয়ে দেবে। নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাবে। তারা এসে ভোট দেবে। কিন্তু বাংলা এই চেষ্টাকে রুখে দেবে।” এদিকে বাজেট ভাষণ চলাকালীন কর্মসংস্থানের দাবিতে ওয়াকআউট করে বিজেপি। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার অধিবেশন থেকে বেরিয়ে এসে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। “রাজ্য সরকার যে দেউলিয়া, তা বাজেটের ছত্রে ছত্রে প্রমাণিত। মহিলাদের জন্য একটি শব্দও রাখা হয়নি বাজেটে।” – বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।