মালদহ সীমান্তে গুলি করে পাচার রুখল BSF। পলাতক পাচারকারীরা, উদ্ধার বিপুল কফ সিরাপ। ‘বিষাক্ত’ স্যালাইনে প্রসূতি মৃত্যুতে রিপোর্ট চাইল নবান্ন। স্বাস্থ্যভবনকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ। মহারাষ্ট্রের স্থানীয় নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে না উদ্ধব সেনার। ‘অখণ্ড ভারত’ চর্চার আমন্ত্রণ ফেরালেন ইউনুস। বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে অঘটন মহামেডানের, ডার্বির আগে বাড়তি অক্সিজেন পেল মোহনবাগান।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. ফের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান রুখল বিএসএফ। পাচারকারীরা বিএসএফ জওয়ানদের উপর হামলাও চালিয়েছিল। যদিও সেই হামলা মোকাবিলা করে পালটা আক্রমণে যান জওয়ানরা। দুই রাউন্ড গুলিও চালানো হয়। শুক্রবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটল মালদহের নওদা সীমান্তে। জওয়ানরা ওই ঘটনার পর সীমান্ত এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ কফ সিরাপ উদ্ধার করেছেন।
জানা যাচ্ছে, ১১৯ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা নওদার সীমান্তে রাতে পাহারা দিচ্ছিলেন। আনুমানিক রাত ২টোর পর ১৫-২০ জন সশস্ত্র বাংলাদেশি চোরাকারবারী সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময় তাঁদের চ্যালেঞ্জ করা হয়। সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশিরা তারপরও এপারে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। জওয়ানরা তাঁদের আটকাতে বন্দুকের ফাঁকা আওয়াজও করেন। তবুও পাচারকারীরা পিছু হটেনি। অভিযোগ, জওয়ানদের মুখে জোরালো টর্চের আলো ফেলা হয়। চোখে ধাঁধা লেগে গেলে ধারালো অস্ত্র, লাঠি নিয়ে জওয়ানদের উপর হামলা চালানো হয়। বেগতিক দেখে জওয়ানরা দুই রাউন্ড গুলি চালান। সেসময় পালান পাচারকারীরা। তীব্র শীতের রাতে ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালান জওয়ানরা। ৫৭২টি কফ সিরাপের বোতল, একটি দূরপাল্লার টর্চ উদ্ধার করা হয়।
2. মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘বিষাক্ত’ স্যালাইনের জেরে প্রসূতির মৃত্যুর জের গড়াল নবান্নে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবন। ২ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্যভবনকে এই রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, শনিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যদপ্তরের ১৩ তদন্তকারীরা। কলেজের সুপার ও অধ্যক্ষের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয় তাঁদের। তার ভিত্তিতে তৈরি হচ্ছে রিপোর্ট। রবিবারের মধ্যে তা নবান্নে জমা দেওয়া হতে পারে। তারপর তা খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেদিনীপুর মেডিক্যালে মৃত মামনি রুইদাসকে নিষিদ্ধ ‘রিঙ্গার ল্যাকটেট’ স্যালাইন দেওয়ার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠার পরই তড়িঘড়ি ওই স্যালাইন-সহ পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি ১০ টি ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যভবন তরফে নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যের সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজকে পাঠানো হয়েছে। বলা হচ্ছে, যে সংস্থার তৈরি স্যালাইন নিয়ে এত বিতর্ক, তাদের তৈরি অন্যান্য স্যালাইনও আপাতত নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। সেসবের নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণাগারে পাঠানো হবে। পরীক্ষার ফলাফল হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।