পার্শ্ববর্তী এলাকার মন্দিরটিকে আগেই ভাঙা হয়েছে। নুর নগরের হিন্দু মন্দির লাগোয়া ধর্মশালাটিকেও অবৈধভাবে ভাঙা হয়েছে। এবার স্থানীয় ওই মন্দিরটিকেও ভাঙতে চাইছে কিছু অসাধু প্রোমোটার ও দুষ্কৃতীরা। সেই ষড়যন্ত্রের আঁচ পেয়েই মন্দির বাঁচাতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন স্থানীয় মুসলিম বাসিন্দারা। এরপরেও কি সফল হবে দুষ্কৃতীদের ষড়যন্ত্র?
অনেকের মতে এটাই প্রকৃত ভারতবর্ষের চেহারা। অবৈধ ভাবে ভেঙে ফেলার চেষ্টা চলছিল একটি হিন্দু মন্দির। সেই মন্দির বাঁচাতে এলাকার মুসলিম বাসিন্দারা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। দিল্লির জামিয়া নগরের নুর নগর এলাকার ঘটনা। শুধু তা-ই নয়, মন্দির ভাঙা নিয়ে যাতে কোনও সাম্প্রদায়িক অশান্তি না-ছড়ায়, আদালতের কাছে সেই আর্জিও জানিয়েছেন আবেদনকারীরা।
নুর নগর মূলত মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা। তবে কিনা সেখানে স্বল্প সংখ্যক হিন্দুও বসবাস করেন। ১৯৭০ সালে নুর নগরে তৈরি হয়েছিল মন্দিরটি। তার পর থেকে প্রতিদিনই সেখানে পুজো ও নামগান হয়ে আসছে। নুর নগর লাগোয়া একটি এলাকায় ইতিমধ্যেই মন্দির ভেঙে অবৈধ নির্মাণ শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। এবার নুর নগরের মন্দিরটিকেও যে কোনও সময়ে ভেঙে ফেলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকার বাসিন্দারা। সেই কারণেই তাঁরা আদালতে অভিযোগ জানিয়েছেন।
আরও শুনুন: মসজিদ খুঁড়ে পাওয়া গেল শিবের বাহন নন্দীর মূর্তি, আসল ঘটনা কী?
দিল্লি হাই কোর্টে নিজেদের আবেদনে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কিছু অসাধু প্রোমোটার স্থানীয় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। ইতিমধ্যে মন্দির চত্বরে থাকা ধর্মশালাটি ভেঙে ফেলেছে তারা। এবার তাদের লক্ষ্য, মন্দিরটি ভেঙে ফেলে, সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করা। মন্দিরটি যাতে কোনও ভাবেই না ভাঙা হয়, তারই জন্য আদালতের হস্তক্ষেপের আর্জিও জানিয়েছেন নুর নগরের মুসলিমরা। এই বিষয়ে পুরসভা ও পুলিশেও জানিয়েছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সংগঠনের প্রধান ফয়জল আজিম আদালতে এলাকার একটি মানচিত্র জমা দিয়েছেন। মানচিত্রে মন্দিরটিকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বাসিন্দাদের হয়ে আদালতে আবেদন করেছেন আইনজীবী নীতিন সালুজা। সেই আবেদনপত্রে লেখা হয়েছে, “এলাকার মুসলিম ও হিন্দু বাসিন্দারা মিলেমিশে বসবাস করেন। প্রোমোটার ও দুষ্কৃতীরা সেই সৌভ্রাতৃত্বকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে।”
আরও শুনুন: ‘হিন্দুরা সহনশীল বলেই ভারত কখনও আফগানিস্তান হবে না’, বিতর্কের মুখে জবাব জাভেদ আখতারের
তবে, দুষ্কৃতীরা বোধ হয় এযাত্রায় সফল হবে না। যেভাবে হিন্দু মন্দির বাঁচাতে কোমর বেঁধে নেমেছেন মুসলিম বাসিন্দারা, তা দেখে ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে বলেই মনে হচ্ছে। এবং সকলে বলছে, এটাই প্রকৃত ভারতবর্ষের চেহারা। এই হল ‘হিন্দুস্তা হামারা’।