এলাকার জনপ্রিয় কংগ্রেস নেতা। তাঁকেই জুতো দিয়ে মারছেন এক মুসলিম ফকির। হাসি মুখে সেই মার খেয়েও চলেছেন ওই নেতা। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এমনই এক ভিডিও ঘিরে সরগরম নেটদুনিয়া। ঠিক কেন বিনা প্রতিবাদে মার খাচ্ছিলেন ওই নেতা? আসুন শুনে নিই।
কথায় আছে, জুতো মেরে গরু দান। তবে এখানে ঠিক গরু নয়, জুতো মেরে ভোটে জেতানো হচ্ছে, এমনটা বলা যেতে পারে। ভাবছেন তো কীভাবে? সম্প্রতি ভাইরাল এক ভিডিওতেই মিলেছে সেই উত্তর। যেখানে বিনা প্রতিবাদে জুতোর মার খেতে দেখা গিয়েছে এক কংগ্রেস নেতাকে।
আরও শুনুন: দীপাবলিতে বাজি পোড়ানোয় আপত্তি করলেই হিন্দুবিরোধী! নেটদুনিয়ায় তোপের মুখে অভিনেত্রী
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের। চলতি মাসেই সে রাজ্যে নির্বাচন। সম্মুখ সমরে বিজেপি, কংগ্রেস সহ একাধিক স্থানীয় দল। প্রত্যেক দলই জিততে মরীয়া। জোর কদমে প্রস্তুতি সেরেছে রাজনৈতিক নেতারাও। কেউ করেছেন লাগাতার জনসভা, কারও ভরসা বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ। সেইসঙ্গে জেতার কামনা নিয়ে মন্দির মসজিদেও ঢুঁ মেরেছেন অনেকেই। তবে কংগ্রেস নেতা পরস শাকলেচা যা করেছেন, তা অনেকেরই ভাবনার বাইরে। ভোটে জেতার জন্য একটানা জুতোর মার খেয়েছেন তিনি। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক মুসলিম ফকিরের কাছে এগিয়ে আসছেন পরস। তাঁর হাতে একটা প্যাকেট। কিছুটা কাছে আসতেই পরসকে জুতো দিয়ে মারতে শুরু করলেন ওই ফকির। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্যাকেট খুলে একজোড়া নতুন চটি বার করে আনলেন পরস। তারপর সেই জুতো জোড়া তুলে দিলেন ফকিরের হাতে। কিন্তু তাতে কোনও কৃতজ্ঞতা না জানিয়ে, সেই নতুন জুতো দিয়েই ফের মারতে শুরু করলেন। একবার পিঠে, একবার গালে, এমনকি কংগ্রেস নেতার মাথায় পর্যন্ত জুতো দিয়ে মারছিলেন ওই ফকির। অথচ একটিবারের জন্য প্রতিবাদ করেননি পরস। একপ্রকার হাসিমুখেই সেই মার তিনি খাচ্ছিলেন।
এখন প্রশ্ন হল এর নেপথ্যে ঠিক কী কারণ রয়েছে?
আরও শুনুন: ছোট চুল রেখেছে মানেই নারীবাদী! বেজায় খেপে মহিলাকে আক্রমণ যুবকের
স্রেফ এক প্রচলিত বিশ্বাস। সাধারণত এই ধরনের ফকির বা ধর্মগুরুর বিশেষ অলৌকিক ক্ষমতা রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। এক ফকিরকে ঘিরেও রয়েছে তেমনই এক জনশ্রুতি। তাঁর হাতে মার খেলে যে কোনও ইচ্ছা পূরণ হয় বলেই বিশ্বাস। অনেকে এমনটা করে লাভবান হয়েছেন বলেও দাবি করেন। আর সেই বিশ্বাসেই ফকিরের কাছে জুতোর বাড়ি খেতে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা পরস। নির্বাচনে যেন তাঁরই জয় হয়, এই কামনা করে লাগাতার জুতো দিয়ে মার খেয়ে গেলেন তিনি। ঘটনার ভিডিও ঘিরে হাসির রোল উঠেছে নেটদুনিয়ায়। কেউ কেউ আবার ওই নেতাকে বাহবাও দিয়েছেন। তবে জেতার জন্য কেউ যে এমন কিছুও করতে পারে তা অবাক করেছে গোটা নেটদুনিয়াকেই।