নোটবন্দির পর থেকেই আমরা ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়েছি ক্যাশলেস পরিষেবায়। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ক্যাশলেস পরিষেবায় ক্রমশ অভ্যস্ত হচ্ছে ভারতবাসী। এইবার আরও ক্যাশলেস-এবং ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সিঁড়িতে আরও একধাপ এগলো ভারত। নিয়ে এল ভারতের প্রথম ডিজিটাল অর্থ ই-রুপি।
নোটবন্দির পর থেকেই আমরা ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়েছি ক্যাশলেস পরিষেবায়। ছোটখাটো মুদির দোকান থেকে, অন্য হাজারো ক্ষেত্রে, অনালাইন শপিং-এ, আমরা ব্যবহার করতাম ই-ওয়ালেট অথবা ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম। নগদ টাকা ছাড়া কখনও কখনও অসুবিধে হলেও, ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ক্যাশলেস পরিষেবায় ক্রমশ অভ্যস্ত হচ্ছে ভারতবাসী। সেই সঙ্গে নানা ক্ষেত্রে বাড়ছিল ই-ওয়ালেট পরিষেবা প্রদানকারী প্ল্যাটফর্মগুলির ভিড়। এইবার আরও ক্যাশলেস এবং ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সিঁড়িতে আরও একধাপ এগলো ভারত। নিয়ে এল ভারতের প্রথম ডিজিটাল অর্থ ই-রুপি।
এই পরিষেবার ব্যবস্থা করেছে, ন্যাশানাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ্ ইন্ডিয়া। তিনটি দপ্তর এই বিষয়ে যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে, এঁরা যথাক্রমে অর্থ পরিষেবা দপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক এবং জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
আরও শুনুন: Special Olympics: এবার ভারতের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর Sonu Sood
এবার থেকে ই-রুপি পরিষেবার ক্ষেত্রে, ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং, অ্যাকাউন্ট থেকে অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার, ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপ, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড, দরকার নেই কিছুরই। এখানে নেই কোনও মধ্যস্থতাকারী, অথচ দিব্যি যিনি অর্থ দিচ্ছেন এবং যাকে দিতে চান দুজনেই পেয়ে যাবেন, তাঁদের কাঙ্ক্ষিত টাকা। তবে লেনদেন হবে ব্যাঙ্কের মাধ্যমেই। সরকারি বা বেসরকারি দুধরনের ব্যাঙ্কের মাধ্যমেই হয়েছে লেনদেনের ব্যবস্থা।
কীভাবে কাজ করবে ই-রুপি?
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে এক ধরনের এসএমএস বেসড কিউআর কোড থাকবে এই পেমেন্ট মোডে। সেই লিঙ্ক চলে যাবে গ্রাহকের মোবাইলে। তবে ভাউচার যিনি পাঠাচ্ছেন তিনি আগে থেকেই টাকা খরচ করে কিনবেন এই ভাউচার। তারপরই পাঠানো যাবে। আপাতত বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প যেমন, মা এবং শিশু কল্যাণ প্রকল্প, যক্ষ্মা নির্মূল প্রকল্প, আয়ুষ্মান ভারত, প্রধানমন্ত্রী জন-যোজনা প্রভৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই ই-রুপির মাধ্যমে খরচ করা যাবে। ওষুধপত্র কেনা এবং পৌঁছে দেওয়া, পুষ্টি সংক্রান্ত নানা খাবারের বন্দোবস্ত, ভর্তুকি যুক্ত সার কেনা, স্বল্প আয়ের মানুষদের সহায়তা প্রভৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই ই-রুপির মাধ্যমে লাভবান হবেন মানুষ। বহুজাতিক সংস্থা বা দপ্তরগুলি যে ধরণের সমাজসেবা এবং জনকল্যাণমূলক কাজকর্ম করে যাকে পরিভাষায় বলে সিএসআর, সেইসব ক্ষেত্রেও সাধারণ মানুষদের সহায়তা করা যাবে ই-রুপি দিয়েই।
আরও শুনুন: Samosa: বাঙালির অতি প্রিয় শিঙাড়া নাকি আদতে ‘ভারতীয়’ই নয়!
আমাদের কেনা বা নানা ক্ষেত্রে গিফট ভাউচার যেমন হয় ই-রুপি ভাউচার আসলে তেমনই। যাকে আপনি টাকা পাঠাতে চান, তাঁর নাম, আধার কার্ড নম্বর, মোবাইল নম্বর, ব্যাঙ্কের তথ্য ইত্যাদি এবং কি কারণে অর্থ দিচ্ছেন, সেটি জানালে বিশেষ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে প্রাপকের মোবাইলে ভাউচার চলে যাবে এসএমএস মারফৎ। ভাউচারটি কিউআর কোড। গ্রাহক এবং প্রাপক দু তরফের সম্মতি পেলেই টাকা ব্যবহার করা যাবে নির্দিষ্ট খাতে।
বাকিটা শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।