ত্রিপুরায় ফের বাতিল অভিষেকের মহামিছিল। আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশের নির্দেশ জারি ত্রিপুরা হাই কোর্টের। রাজ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত মোট চার। আরও তিন নিম্নচাপের আশঙ্কা। আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে বৃষ্টি। রোগীর শরীরে সফলভাবে ফুসফুস প্রতিস্থাপন করল কলকাতা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 20 সেপ্টেম্বর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- ভবানীপুরে শীতলা মন্দিরে পুজো দিলেন মমতা, সঙ্গী অভিষেক-পিকে
আরও শুনুন:19 সেপ্টেম্বর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘বাংলায় খেলতে চাই’, দল বদলের পর মন্তব্য বাবুলের
বিস্তারিত খবর:
1. ত্রিপুরায় ফের বাতিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহামিছিল। মঙ্গলবার সে রাজ্যের পুলিশ এবং বিজেপি সরকারের আবেদন মেনে নিল ত্রিপুরা হাই কোর্ট। শুধু ২২ তারিখই নয়, আগামী নভেম্বরের ৪ তারিখ পর্যন্ত ত্রিপুরায় কোনও মিছিল, জমায়েত, রাজনৈতিক সভায় জারি হল স্থগিতাদেশ। কোভিড বিধি জারি থাকার কারণ দেখিয়ে আদালতের এই পদক্ষেপ। তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, মিছিল না হলেও ২২ তারিখ আগরতলা যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবারের মিছিল নিয়ে টালবাহানা ছিলই। পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় ত্রিপুরা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বিচারপতি অরিন্দম লোধের নির্দেশে মঙ্গলবার নিজেদের বক্তব্য পেশ করে পুলিশ। কোভিড বিধি এবং উৎসবের মরশুম, এই দুই কারণ দেখিয়ে মিছিলে আপত্তির কথা জানায় পুলিশ। এই মুহূর্তে আগরতলায় এত বড় রাজনৈতিক মিছিল হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পুলিশ এবং রাজ্যের বিপ্লব দেব সরকার। আর এই যুক্তি মেনেই স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারপতি।
2. বৃষ্টির হাত থেকে এখনই রেহাই পাচ্ছে না বঙ্গবাসী। আশঙ্কা দেখা দিয়েছে আরও তিনটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার। যার ফলে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে বৃষ্টি।
রবিবার থেকে একটানা বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই কলকাতার একাধিক জায়গায় জল জমেছে। বাড়তে শুরু করেছে গঙ্গার জলস্তরও। সোমবার একাধিক স্টেশনে রেললাইন জলে ডুবে যাওয়ায় ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। বাতিল হয়েছে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। এদিকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে এখনও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর বজায় রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। জেলার নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে থাকা বাসিন্দাদেরও সতর্ক করা হয়েছে। এদিকে রাজ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল খড়দায় একই পরিবারের তিনজন এবং টিটাগড়ে এক কিশোরের।
এই আকস্মিক পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে নবান্ন। কন্ট্রোল রুম থেকে জেলাগুলির সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এদিন সন্ধে পর্যন্ত নবান্ন সূত্রে খবর, প্রত্যেক জেলাশাসককে বিপর্যয় মোকাবিলার খরচ দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৪৭টি ব্লক এবং আটটি পুরসভা জলমগ্ন রয়েছে। জলবন্দি রয়েছেন প্রায় ১৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৩২৮ জন মানুষ। এক লক্ষ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। ক্ষতি হয়েছে শস্য ও গবাদি পশুর। জলমগ্ন জেলাগুলিতে ৫৭৭টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
বিশেষ বিশেষ খবর শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।