অভিনেত্রী নুসরত জাহানের সঙ্গে নিখিল জৈনের বিবাহ খারিজ করল আদালত। আইসিসি’র বড় দায়িত্বে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠকে পুরপ্রশাসকদের আরও দায়িত্ববান হওয়ার কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। ঘোষণা সব পুরসভায় পর্যবেক্ষক নিয়োগেরও। SSC গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগে বেনিয়ম মামলায় ২৫ জন চাকরিজীবীর বেতন বন্ধের নির্দেশ আদালতের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 16 নভেম্বর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- রাজ্যে চালু ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প, সম্ভাবনা ৪২ হাজার কর্মসংস্থানের
আরও শুনুন: 15 নভেম্বর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- আগের নিয়মেই ফ্রি পাস পাবেন পড়ুয়ারা, জানাল রেল
বিস্তারিত খবর:
1. অবশেষে নুসরত জাহানের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করলেন ব্যবসায়ী নিখিল জৈন। ম্যারেজ অ্যানালমেন্টের মাধ্যমে নুসরতের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। বুধবার তাঁদের বিয়ে খারিজ করে দিল আলিপুর সিভিল কোর্ট।
তুরস্কে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করেছিলেন নুসরত ও নিখিল। দুর্গাপুজোতে নিখিলকে পাশে নিয়ে সিঁদুরও খেলেছিলেন নুসরত। কিন্তু বিয়ের এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সম্পর্কে ভাঙন! তুরস্কে বিয়ের পর ভারতে ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন করেননি তাঁরা। সেই কারণেই অ্যানালমেন্টের মাধ্যমে নুসরত জাহানের থেকে আলাদা হতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিখিল জৈন। তবে নিখিলের অ্যানালমেন্টের প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না নুসরত জাহান। বিবৃতি দিয়ে অভিনেত্রী-সাংসদ দাবি করেছিলেন, ভারতীয় আইন অনুযায়ী তাঁর ও নিখিলের বিয়ে যেহেতু নথিভুক্ত হয়নি, সুতরাং বিচ্ছেদের প্রশ্নই আসে না। বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল নুসরতের সেই বিবৃতি নিয়ে। অবশেষে জন্মদিনের দিন নুসরতের বিরুদ্ধে মামলায় জয়ী হলেন নিখিল জৈন। নিখিলের কথায়, ‘এটাই জন্মদিনের সেরা উপহার।’
2. একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর বুধবার প্রথম উত্তর ২৪ পরগনায় প্রশাসনিক বৈঠক করলেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন জেলার বিধায়ক, সাংসদ, জেলাশাসক-সহ অন্যান্যরা। প্রত্যেক বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। শোনেন তাঁদের অভাব, অভিযোগ। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, বর্তমানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তাই এই মুহূর্তে অন্য খাতে অর্থ ব্যয় করতে সমস্যা হবে। শুধু টাকা না চেয়ে বিধায়কদের কাজ করার নির্দেশ দিলেন তিনি। অভিযোগ করলেন, টাকা দেওয়া সত্ত্বেও পিডব্লুউডি কোনও কাজ করে না। তাঁদের তীব্র ভর্ৎসনা করেন তিনি।
সামনে পুরভোট। অথচ, ব্যারাকপুর, টিটাগড়, কামারহাটি, নোয়াপাড়া, উত্তর দমদম-সহ জেলার একাধিক পুরসভার কাজে যে তিনি খুশি নন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা। জানিয়ে দিয়েছেন, আলো, জল ও রাস্তা ঠিক রাখাই পুরপ্রশাসকদের প্রথম কাজ হওয়া উচিত। নাম ধরে ধরেই পুরসভার প্রশাসকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। একপ্রকার হুঁশিয়ারির সুরে কাউন্সিলর তথা ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদের বলেন, “ভাল কাজ করলে পুরস্কার পাবেন। কাজ না করলে ভেবে দেখতে হবে।” শুধু তাই নয়, পুরভোটের আগে আগে সব পুরসভায় পর্যবেক্ষক নিয়োগেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই পর্যবেক্ষকরা পুর এলাকায় ঘুরে পুরসভা এবং কাউন্সিলরদের কাজের খতিয়ান সংগ্রহ করবেন। এবং সেই তথ্য পৌঁছে দেবেন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। অর্থাৎ, বকলমে পুর প্রশাসক এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের উপর নজরদারি চালাবেন পর্যবেক্ষকরা।
এদিকে এদিন প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ১ জানুয়ারিকে স্টুডেন্টস ডে অর্থাৎ ছাত্র দিবস হিসেবে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, আগামী ২০ নভেম্বর রাজ্যের তরফে আয়োজন করা হবে ছাত্র মেলার। সেখানে মোট ১০ পড়ুয়াকে লোন অর্থাৎ স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মমতা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।