বিরোধীদের প্রতিবাদে উত্তাল বিধানসভা। বাধা মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণেও। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন কেন বন্ধ ইন্টারনেট। কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা। রাজীব হত্যা মামলায় অভিযুক্ত এ জি পেরারিভালানের জামিন মঞ্জুর। সব দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত শীর্ষ আদালতের। রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞার ফাঁস কড়া করলেন বাইডেন। বৈধ হচ্ছে মানকাডিং। ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন শ্রীসন্থ।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 7 মার্চ 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- বিক্ষোভে উত্তাল বিধানসভা, বিজেপিকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
আরও শুনুন: 8 মার্চ 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ঘোষিত তৃণমূলের রাজ্য কমিটি, যোগ দিয়েই পদপ্রাপ্তি জয়প্রকাশের
বিস্তারিত খবর:
1. ফের উত্তাল বিধানসভা। ৭ মার্চ রাজ্যপালের উদ্বোধনী ভাষণের সময় বিধানসভায় বিক্ষোভের জের। বুধবার সাসপেন্ড করা হল বিজেপির দুই বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও মিহির গোস্বামীকে। চলতি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই দু’জনকে। এরপরই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘরে বৈঠকে বসেন বিজেপির বিধায়করা।
এদিকে, দুই বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি ঘিরে ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিধানসভা। ক্রমাগত জয় শ্রীরাম স্লোগান তুললেন বিজেপি বিধায়করা। প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জবাবি ভাষণে বাধা দেন বিজেপির বিধায়করা। নেতৃত্ব ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী ভাষণ শুরু করতে গেলে তাঁকেও বাধা দেওয়া হয়। তবে গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা হইচই করলেও বক্তব্য থামাননি মুখ্যমন্ত্রী। বরং বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। গোটা ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “হাউসে বিজেপির মস্তানি চলছে।” একইসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, “ওঁরা যত গর্জন করে তত বর্ষায় না। ওরা শুধু বিশৃঙ্খলা করে।” সব মিলিয়ে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় বিধানসভায়।
এদিন বাজেট অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ানও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “বাংলা সবকিছুতে পিছিয়ে ছিল। এখন বাংলা উন্নয়নের শিখরে। রাজস্ব সংগ্রহ বেড়েছে ৪ গুণ। ১০০ দিনের কাজে প্রথম আমরা। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে সবচেয়ে বেশি লগ্নি হয়েছে বাংলায়।” ‘দুয়ারে সরকার’, ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের সাফল্যের হিসেবও দিয়েছেন মমতা। উঠে আসে শিল্প, বিনিয়োগর কথাও।
2. মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন কেন বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট? এই মর্মে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল। বৃহস্পতিবারই জমা দিতে হবে হলফনামা। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। ওই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতেই হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। গত সোমবার থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে এ বছর প্রথম থেকেই কঠোর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন ফাঁস রুখতে পরীক্ষার দিনগুলিতে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩.১৫ পর্যন্ত ওই সব এলাকায় ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, মূলত মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, বীরভূম এবং দার্জিলিংয়ের একাধিক জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।
এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মামলাকারীর দাবি, রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা। কারণ, করোনা কালে অনলাইন পরিষেবাতেই বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ হাই কোর্টের। ইন্টারনেট কেন বন্ধ রাখা হবে, সে বিষয়টি হলফনামায় উল্লেখ করতে হবে। বৃহস্পতিবারই জমা দিতে হবে হলফনামা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।