নাটকীয় রাজনৈতিক পরিবর্তন বিহারে। ইস্তফা নীতীশ কুমারের। ১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় দুর্গাপুজোর মহামিছিলে অংশগ্রহণ ইউনেস্কোর। গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে ফের তলব সিবিআইয়ের। ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে ফের সরব তৃণমূল। তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলির বাড়িতে চড়াও দলীয় কর্মীরা। ভয়ংকর দুর্ঘটনা বীরভূমে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু বিখ্যাত আম্পায়ার রুডি কার্টজেনের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 8 আগস্ট 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- দ্রুত নিয়োগের আশ্বাস, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে খুশি চাকরিপ্রার্থীরা
আরও শুনুন: 7 আগস্ট 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- বালিগঞ্জে বিলাসবহুল গাড়ি পিষে দিল মহিলাকে, গ্রেপ্তার চালক
বিস্তারিত খবর:
1. বিহারের রাজনীতিতে প্রায় রাতারাতি হল নাটকীয় পটপরিবর্তন। বিজেপির সঙ্গে ফের গাঁটছড়া ছিন্ন করলেন নীতীশ কুমার। মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন নীতীশ। রাজ্যপাল ফাগু চৌহানের কাছে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দেন তিনি। ইস্তফা দেওয়ার পর বিহারের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর দলের সব সাংসদ এবং বিধায়ক একযোগে এনডিএ ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নীতীশ পদত্যাগের সঙ্গে সঙ্গেই ভেঙে গেল তাঁর গোটা মন্ত্রিসভা। এদিকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই বিরোধীপক্ষ অর্থাৎ তেজস্বী যাদব এবং রাবড়ি দেবীর সঙ্গে দেখা করেন নীতীশ। এদিনই দ্বিতীয়বার নয়া সরকার গড়ার প্রস্তাব নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। তারপরই জানা যায় বুধবার বিকেল চারটেয় নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নীতীশ কুমার। সাতটি দলের মহাজোট গড়ে সরকার গড়ার পথে আরজেডিই। বিহারের বিধানসভার হিসাব বলছে, প্রায় দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নীতীশের পক্ষেই আছে। তাই সরকার গড়তে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। এদিকে, বিহারের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপির পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন লোক জনশক্তির নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ানের ছেলে চিরাগ পাসওয়ান। নীতীশকে নীতিহীন বলে তোপ দেগে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছেন তিনি। তবে বিহারের এই পালাবদলকে স্বাগত জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে।
2. মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে এবার বাংলার দুর্গাপুজোর আনন্দে গা ভাসাবে ইউনেস্কোও। সংস্থার তরফে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল, আগামী পয়লা সেপ্টেম্বর দুর্গাপুজো উপলক্ষে আয়োজিত কলকাতার মিছিলে অংশ নেবেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধিও। দুর্গাপুজোকে আন্তর্জাতিক উৎসবের স্বীকৃতি দেওয়া হোক- এ দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। গতবছরই মিলেছিল সুখবর। বাংলা ও বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবকে ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’-এর তকমা দেয় ইউনেস্কো। এই বিরাট সম্মানের পরই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, এবছর একমাস আগে থেকেই বাংলাজুড়ে শুরু হয়ে যাবে দুর্গাপুজো। সেই উদযাপনের অংশ হিসাবেই আয়োজন করা হয়েছে এক মহামিছিলের। এই মিছিলে ইউনেস্কোও অংশ নিক, এমনটাই প্রত্যাশা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সেইমতো সংস্থাকে তিনি অনুরোধও জানিয়েছিলেন। তাঁর সেই ডাকেই এবার আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিও অংশ নিচ্ছেন দুর্গাপুজোর মহামিছিলে। এই অংশগ্রহণে বাঙালির দুর্গাপুজোর গরিমা যে অনেকটাই বাড়ল, এমনটাই মনে করছেন রাজ্যবাসী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।